English

35 C
Dhaka
সোমবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৪
- Advertisement -

নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিন: অপরিকল্পিত বালু উত্তোলন

- Advertisements -
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নদীভাঙন অনেক বেড়েছে। প্রতিবছর বাড়িঘর, ফসলি জমি হারিয়ে হাজার হাজার পরিবার পথে বসছে। হাটবাজার, রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বহু স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এর প্রধান একটি কারণ হচ্ছে নদী থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন।
নদীর কোনো একটি স্থানে অনেক গভীর করে বালু উত্তোলনের ফলে পানির প্রবাহ সেই জায়গায় এসে পাক খায় বা ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয়, তখন আশপাশে ভাঙন ত্বরান্বিত হয়। গণমাধ্যমে প্রতিনিয়ত এমন অনেক খবর আসছে। এ ধরনের দুটি খবর রয়েছে।
একটি খবরে বলা হয়, মানিকগঞ্জ জেলা শহরের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত কালীগঙ্গা নদীর বেওথা বালুমহালের কারণে ব্যাপক ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে।
ভাঙন ঠেকাতে স্থানীয় লোকজন বালুমহাল বন্ধের দাবিতে নানা কর্মসূচি পালন করছে, কিন্তু বালু উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে না। অপর খবরে বলা হয়, নওগাঁর মান্দা উপজেলায় আত্রাই নদী থেকে বালু উত্তোলন এবং পার কেটে সাবাড় করছে প্রভাবশালীরা।
এরই মধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে অন্তত ৫০ বিঘা ফসলি জমি। কৃষকদের অভিযোগ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), এসি ল্যান্ডসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়ে, প্রতিবাদসভা, মানববন্ধন করেও কাজ হচ্ছে না।
জানা যায়, মানিকগঞ্জে কালীগঙ্গা নদীর বালুমহালটি ইজারা দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু ইজারার শর্ত মানা হচ্ছে না। ইজারার নিয়ম অনুয়ায়ী হাইড্রোগ্রাফি অনুসরণ করে বালু উত্তোলন করতে হবে।
এমনভাবে বালু উত্তোলন করা যাবে না, যাতে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয় এবং পানির গুণগত মান, মাছের প্রজনন ও জলজ প্রাণীর ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে।
তীরসংলগ্ন ফসলি জমি ও বাড়িঘর যেন ক্ষতির মুখে না পড়ে। উত্তোলন করা বালু এমনভাবে সংরক্ষণ ও স্থানান্তর করতে হবে, যাতে পরিবেশদূষণ না হয়; কিন্তু ইজারাদাররা এর কোনোটাই মেনে চলছেন না।
অনিয়ন্ত্রিত বালু উত্তোলনের কারণে এরই মধ্যে পৌর শহরের আন্ধারমানিক, জয়নগর ও পৌলী এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইজারা দেওয়া হয়েছে নদীর মাঝ বরাবর, কিন্তু ইজারাদাররা ড্রেজার দিয়ে বালু কাটেন নদীর কিনারায়।
এসব ক্ষেত্রে প্রশাসনের তদারকি নেই বললেই চলে। প্রায় একই ধরনের অবস্থা চলছে মান্দা উপজেলায় আত্রাই নদীতে। সেখানে বালু উত্তোলনে বাধা দিতে গিয়ে গ্রামবাসী কয়েক দফা হামলারও শিকার হয়েছে।
নির্মাণসামগ্রী হিসেবে বালুর চাহিদা দিন দিনই বাড়ছে এবং বাড়তেই থাকবে। সেই চাহিদা মেটাতে বৈধ ও পরিকল্পিত উপায়ে বালু উত্তোলন বাড়াতে হবে। কোন নদী থেকে কতটুকু বালু উত্তোলন করা যাবে বিশেষজ্ঞদের দিয়ে তার পরিকল্পনা তৈরি করে বালু উত্তোলনের জন্য ইজারা দিতে হবে।
পাশাপাশি সেই কার্যক্রম নিয়মিত তদারকি করতে হবে। বালু উত্তোলন নিয়ে বর্তমানে যে ধরনের অরাজকতা চলছে, অবিলম্বে তা বন্ধ করতে হবে।
সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন