English

30 C
Dhaka
সোমবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৪
- Advertisement -

নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিন: অসহনীয় শব্দদূষণ

- Advertisements -
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) মতে, ৬০ ডেসিবেল মাত্রার শব্দ সাময়িক বধিরতার কারণ হতে পারে। শব্দের মাত্রা ১০০ ডেসিবেলের ওপর হলে তা স্থায়ী বধিরতার কারণ হতে পারে। বধিরতা ছাড়াও হৃদরোগ, নিদ্রাহীনতা, স্নায়বিক ও মানসিক নানা রোগের কারণ হতে পারে অতিরিক্ত শব্দদূষণ। অথচ প্রতিনিয়ত আমাদের ৭০, ৮০ কিংবা ১০০ ডেসিবেল শব্দের মধ্যে থাকতে হচ্ছে।

প্রকাশিত এক খবরে দেখা যায়, সরকারিভাবে যেসব এলাকাকে ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণা করা হয়েছে, সেসব এলাকায়ও শব্দদূষণের মাত্রা দুই বা আড়াই গুণের চেয়েও বেশি।

ডাব্লিউএইচওর মতে, শয়নকক্ষে শব্দের মাত্রা হওয়া উচিত ২৫ ডেসিবেলের কম। ঘর, অফিস বা অন্যত্র ৪০ ডেসিবেলের কম থাকা বাঞ্ছনীয়। শব্দ এর চেয়ে বেশি মাত্রায় হলেই তাকে শব্দদূষণ হিসেবে গণ্য করা হয় এবং তাতে মানুষের ক্ষতি হয়।

তার ভিত্তিতে প্রতিটি দেশই এলাকাভেদে শব্দের মাত্রা নির্ধারণ করে থাকে। বাংলাদেশেও এই মাত্রা নির্ধারণ করা আছে। ২০০৬ সালের শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালায় বিভিন্ন এলাকাকে নীরব, আবাসিক, মিশ্র, বাণিজ্যিক ও শিল্প শ্রেণিতে ভাগ করে এসব এলাকায় শব্দের মানমাত্রা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
এই বিধিমালা অনুযায়ী হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত বা একই জাতীয় অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান এবং এর চারপাশের ১০০ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকাকে নীরব এলাকা বলা হয়েছে।
এই নীরব এলাকায় শব্দের মানমাত্রা দিনে (সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা) ৫০ ও রাতে (রাত ৯টা থেকে সকাল ৬টা) ৪০ ডেসিবেলের নিচে থাকতে হবে। আবাসিক এলাকায় দিনে ৫৫ ও রাতে ৪৫ ডেসিবেল, মিশ্র এলাকায় দিনে ৬০ ও রাতে ৫০ ডেসিবেল এবং বাণিজ্যিক এলাকায় দিনে ৭০ ও রাতে ৬০ ডেসিবেল পর্যন্ত গ্রহণযোগ্য মাত্রা।
জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, সচিবালয় এলাকায় দিনে ১০১.৭ ডেসিবেল শব্দ রেকর্ড করা হয়েছে। অন্যদিকে রাতে সবচেয়ে বেশি ১০১.৫ ডেসিবেল শব্দ পাওয়া গেছে ধানমণ্ডি ল্যাবএইড হাসপাতাল এলাকায়। দুটিই ঘোষিত ‘নীরব এলাকা’।
একইভাবে অন্যান্য এলাকায়ও শব্দদূষণের মাত্রা অনেক বেশি পাওয়া গেছে। শব্দদূষণ সম্পর্কে আমাদের সচেতনতা অত্যন্ত কম। রাস্তায় যানজটে আটকে থাকা ছোট-বড় অনেক যানবাহনের চালককে অনবরত হর্ন বাজাতে শোনা যায়। এটি যে পথচারী বা সাধারণ মানুষের ক্ষতির কারণ হচ্ছে, তা তাঁদের উপলব্ধিতেই নেই। আবার যানবাহনে কত উচ্চ শব্দের হর্ন লাগানো যায় তার প্রতিযোগিতা চলে।
বেশির ভাগ গাড়িতেই একাধিক হর্ন থাকে। ভারী যানবাহনে নিষিদ্ধ হাইড্রোলিক হর্নও ব্যবহৃত হয়। যানবাহন ছাড়াও সামাজিক নানা অনুষ্ঠানে উচ্চ শব্দে গান বাজানো, নির্মাণশিল্পে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি, কারখানার শব্দসহ শব্দদূষণের অনেক উৎস রয়েছে। এগুলোর শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আল কোরআন ও আল হাদিস

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন