English

28 C
Dhaka
রবিবার, মে ৫, ২০২৪
- Advertisement -

নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন: টেকনাফে বনকর্মী অপহরণ

- Advertisements -
কক্সবাজারের, বিশেষ করে টেকনাফ ও সংলগ্ন এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ক্রমেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। চুরি, ডাকাতি, খুন, ছিনতাই, রাহাজানি, অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়ের মতো অনেক অপরাধই ঘটে চলেছে এই এলাকায়। প্রতিনিয়ত বাড়ছে এসব অপরাধ তৎপরতা। ফলে এই এলাকার বাসিন্দাদের জীবন রীতিমতো দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।
বিপদে আছেন কক্সবাজার বন বিভাগে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও। প্রকাশিত খবরে দেখা যায়, কক্সবাজারের টেকনাফের পাহাড় থেকে তিন বনকর্মীকে তিন দিন আগে অপহরণ করা হয়। গত রবিবার দুপুরে অপহৃতদের উদ্ধার করা হয়। এর আগে অপহরণকারীরা বনকর্মীদের পরিবারের কাছে মাথাপিছু ২০ লাখ টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করে।
গত শনিবার সকালে অপহৃত ব্যক্তিদের পরিবারের কাছে ফোন করে এই মুক্তিপণ চাওয়া হয়।টেকনাফের পরিস্থিতি দিন দিনই খারাপ হচ্ছে। স্থানীয় লোকজন এ জন্য ব্যাপক রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকেই দায়ী করছে। তাদের মতে, ২০১৭ সালের আগেও ১৯৭৯ সালে এবং ১৯৯১ সালে বড় আকারে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটে।
প্রথম দুইবার অনেক রোহিঙ্গা মিয়ানমারে ফিরে গেলেও অনেকে এ দেশে থেকে যায়। তখন থেকেই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকে। আর ২০১৭ সালের অনুপ্রবেশের পর যে অবস্থা হয়েছে, তাতে স্থানীয় লোকজনের এই এলাকায় টিকে থাকাই কঠিন হয়ে পড়েছে। বনকর্মীদের ওপর আগেও অনেকবার হামলা হয়েছে। কুপিয়ে গুরুতর আহত করার অনেক ঘটনা ঘটেছে।
গাছ ও কাঠ চুরিতে বাধা দেওয়ায় বনকর্মীদের ওপর রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের যথেষ্ট ক্ষোভও রয়েছে। হামলা হয়েছে স্থানীয় লোকজনের ওপর। হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। আক্রান্ত হয়েছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরাও। জানা যায়, গত শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের মোচনী বিটের নেচার পার্কে পাহারা দেওয়ার সময় ওই তিন বনকর্মীকে অপহরণ করা হয়।
অপহৃতরা হলেন হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া এলাকার আবদুল মালেকের ছেলে মো. শাকের (২০), একই এলাকার বকসু মিয়ার ছেলে আবদুর রহমান (৪২) ও আবদুস শুক্কুরের ছেলে আবদুর রহিম (৪৬)।
পরে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। তাঁদের উদ্ধার করতে স্থানীয় লোকজনের সহায়তা নিয়ে পুলিশ তিন দিন ধরেই পাহাড়ে অভিযান পরিচালনা করে। রবিবার দুপুরে পাহাড় থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ভাষ্য, তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীরা অপহৃতদের ফেলে রেখে চলে যায়।
তিন বনকর্মী অপহরণের সঙ্গে কারা জড়িত, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা এ রকম বেশ কিছু ঘটনা ঘটিয়েছে। দেখা গেছে, রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের সঙ্গে স্থানীয় অপরাধীদেরও যোগসাজশ রয়েছে। আমরা চাই, দ্রুততম সময়ে বনকর্মীদের উদ্ধারে ব্যাপক পদক্ষেপ নেওয়া হোক।
প্রয়োজনে পাহাড়ে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হোক। পাশাপাশি টেকনাফ ও সংলগ্ন এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে ব্যাপক পদক্ষেপ নিতে হবে।
সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন