English

32 C
Dhaka
শুক্রবার, মে ৩, ২০২৪
- Advertisement -

নির্মাণকাজে নিরাপত্তা দিন: পাবিপ্রবিতে শ্রমিকের মৃত্যু

- Advertisements -
দেশ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। অথচ কর্মপরিবেশের দিকে কি সেভাবে নজর দেওয়া হচ্ছে? চারদিকে তাকালেই দেখা যায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলছে। এই উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অবদান যাদের, সেই শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিয়ে কি কারো কোনো ভাবনা আছে? আমরা নজর খুব কমই দিয়ে থাকি। রাজধানীসহ সারা দেশে বহুতল ভবন নির্মাণের প্রবণতা বাড়ছে।
সে ক্ষেত্রে শ্রমিকদের জন্য জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম সরবরাহ করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ করতে গিয়ে গত এক বছরে ছয়জন নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। নিরাপত্তাবিধি না মেনে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করায় নিয়মিত বিরতিতে শ্রমিকদের মৃত্যু হচ্ছে বলে খবরে প্রকাশ। এর দায় কার? শ্রমিকদের অসচেতনতা ও ঠিকাদারদের উদাসীনতাকেই দায়ী করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
জানা যায়, ২০১৯ সাল থেকে শুরু হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৮০ কোটি ৬০ লাখ টাকার উন্নয়ন প্রকল্পে কাজ করতে গিয়ে ঠিক কতজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে তার সঠিক কোনো তথ্য প্রক্টর অফিসে নেই। এমনটি জানা যায় যে গত চার বছরে প্রকল্পে কাজ করতে গিয়ে অন্তত ১৫ শ্রমিক মারা গেছেন।প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বহুতল ভবন নির্মাণে যেসব সেফটি কোড রয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো তার বেশির ভাগই মানে না। ফলে কয়েক দিন পর পর মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে।
সাধারণভাবে বিভিন্ন নির্মাণকাজের সময়, বিশেষ করে বহুতল ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে দেখা যায় নির্মীয়মাণ ভবন নেট দিয়ে ঢেকে দেওয়ার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না।শাটারিং করার সময় খুঁটিগুলো মেটালের হওয়ার কথা থাকলেও বিভিন্ন সময় বাঁশের ওপর হলুদ রং করে সেগুলোকে মেটাল হিসেবে চালিয়ে দেওয়া হয়। উঁচু স্থানে কাজ করার সময় শক্ত দড়ি-মাচা ব্যবহারের এবং এর নিচে নেট দেওয়ার কথা থাকলেও সেটা দেওয়া হচ্ছে না।

বিলসের মতে, কর্মস্থলে নিরাপত্তাবেষ্টনী ও ভালো নিরাপত্তা জাল না থাকা, দুর্বল মাচার ব্যবহার, এলোমেলোভাবে ইট, রড, বালু, সিমেন্টসহ নির্মাণসামগ্রী রাখা, ভালো সিঁড়ি, আধুনিক যন্ত্র ও পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা না থাকা এবং হেলমেট, বেল্ট ও বুট ব্যবহার না করার কারণে দুর্ঘটনার সংখ্যা বাড়ছে।

দেশের প্রচলিত আইনে নির্মাণ খাতের শ্রমিকদের জন্য কর্মস্থলের নিরাপত্তা বিধান এবং ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহ ও ব্যবহার নিশ্চিত করার কথা স্পষ্টত উল্লেখ করা আছে।

কর্মকালীন একজন শ্রমিককে কী কী নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে জাতীয় বিল্ডিং কোডে তার বিস্তারিত উল্লেখ থাকলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তা মানা হয় না। ২০১৪ সালের জাতীয় ভবন নির্মাণ বিধিমালা অনুযায়ী কাজের সময় কর্মরত শ্রমিকের মাথায় হেলমেট পরা বাধ্যতামূলক করা হয়।
যাঁরা কংক্রিটের কাজে যুক্ত তাঁদের হাতে গ্লাভস এবং চোখের জন্য ক্ষতিকর কাজে বিশেষ চশমা পরিধান করতে হবে। মালিক ও ঠিকাদারকে এটি নিশ্চিত করতে হবে। শ্রমিকদেরও নিরাপত্তা সরঞ্জাম ছাড়া উঁচু ভবনে কাজ না করার বিষয়ে সচেতন করতে হবে।
নিরাপদ ও সুরক্ষিত কর্মপরিবেশ কর্মক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা বাড়ায়। নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন