English

29 C
Dhaka
রবিবার, মে ৫, ২০২৪
- Advertisement -

পরিবেশ উন্নয়নে ব্যবস্থা নিন: টঙ্গীর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্র

- Advertisements -
বয়সের কারণেই শিশু বা কিশোররা অনেক পরিস্থিতিতে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। অসৎ প্ররোচনাও থাকে। ফলে তারা কখনো কখনো জড়িয়ে যায় কিছু ভুল কাজের সঙ্গে। এমন অনেক শিশু-কিশোরকে রাখা হয় উন্নয়ন  কেন্দ্র বা সংশোধন কেন্দ্রে।

উদ্দেশ্য, তারা যাতে নিজেদের ভুল বুঝতে পারে, সংশোধিত হয় এবং ভবিষ্যতে একেকজন সুনাগরিক হয়ে গড়ে উঠতে পারে। কিন্তু এসব উন্নয়ন কেন্দ্র কি কোনোভাবে এসব উদ্দেশ্যের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ থাকতে পারছে? সংশ্লিষ্ট অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, এসব শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে থাকা শিশুদের সংশোধিত হওয়ার বদলে বরং আরো বেশি অপরাধী হয়ে ওঠার আশঙ্কা রয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, প্রতিটি শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে নির্দিষ্ট সংখ্যার দ্বিগুণ বা এর চেয়ে বেশি শিশুকে রাখা হয়। রাতে ঘুমানোর একটু জায়গা পাওয়ার জন্য নিজেদের মধ্যে শুরু হয় টানাহেঁচড়া, এমনকি মারামারি।

শাসনের নামে চলে শিক্ষকদের চড়-লাথি-ঘুষি। সরকারের ভালো বরাদ্দ থাকলেও খাবার হয় খুবই নিম্নমানের। নেই শিশুদের মানসিক পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান বা কাউন্সেলিংয়ের জন্য উপযুক্ত ও দক্ষ কর্মকর্তা। অভিযোগ আছে, চিকিৎসার জন্য বরাদ্দ থাকলেও কেন্দ্র থেকে কোনো নিবাসীকে কোনো ওষুধই সরবরাহ করা হয় না।
শিশুরা অসুস্থ হয়ে দিনের পর দিন ভুগলেও তাদের চিকিৎসার বিষয়টি উপেক্ষা করা হয়।
উদাহরণ হিসেবে গাজীপুরের টঙ্গীর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রটির (কারাগার) কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়েছে, এই কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে ধারণক্ষমতার সাড়ে তিন গুণ বেশি বন্দি বা নিবাসী রয়েছে। কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্র নানা সংকটে জর্জরিত। একটি পাঁচতলা ও একটি দোতলা ভবনে থাকে শিশু-কিশোর বন্দিরা।
এখানে ধারণক্ষমতা ২০০ বন্দির। কিন্তু আছে ৭২৭ জন। তবে ৩০০ বন্দি থাকার অনুমোদন আছে। কেন্দ্রের চিকিৎসা কেন্দ্রে সরকারি অনুমোদিত পদ আছে দুটি। একজন নার্স ও একজন কম্পাউন্ডার। ফলে কোনো নিবাসী অসুস্থ হয়ে পড়লে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসাও পায় না।
এই প্রতিষ্ঠানে চলতি বছরের জুন মাসে একজন এবং ২৫ আগস্ট একজন বন্দি মারা যায়।
সমাজসেবা অধিদপ্তর পরিচালিত কেন্দ্রটির বিভিন্ন বিভাগেও আছে লোকবলের সংকট। প্রতিষ্ঠানটির অনুমোদিত কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদ আছে ৬৩টি। বর্তমানে কর্মরত আছেন ৩১ জন।
চাইল্ড সেনসিবল প্রটেক্ট ইন বাংলাদেশ প্রকল্পের আওতায় কর্মরত আছেন সাতজন। প্রতিষ্ঠানটির নিরাপত্তার জন্য ৫৫ জন আনসার সদস্য কাজ করছেন।
অতিরিক্ত বন্দিদের জন্য এখানে অবকাঠামো নির্মাণ জরুরি। আমরা আশা করব, শিগগিরই টঙ্গীর এই কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের অবকাঠামো উন্নয়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আল কোরআন ও আল হাদিস

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন