English

24 C
Dhaka
রবিবার, মে ৫, ২০২৪
- Advertisement -

পানিবন্দি মানুষের পাশে দাঁড়ান: পাঁচ জেলায় বন্যা

- Advertisements -
প্রতিবছর বন্যায় অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হবে, ফসলহানির কারণে সারা বছর অনাহারে-অর্ধাহারে থাকতে হবে, পাহাড়ধসে অসংখ্য প্রাণহানি ঘটবে কিংবা নদীভাঙনে হাজার হাজার পরিবার গৃহহারা, জমিহারা হবে—এটাই যেন এখন নিয়তি।বর্ষার শুরু থেকেই চলে আসছে এ অবস্থা। প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়েছে, স্বল্পমেয়াদি বন্যায় যমুনা নদীতীরের পাঁচ জেলায় অন্তত ১৬ হাজার ৮৩০টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। যমুনার পানি বিপত্সীমা অতিক্রম করে গাইবান্ধা, জামালপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ জেলার নিম্নাঞ্চলে তিন-চার দিন ধরে বন্যা পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
প্লাবিত হয়েছে প্রায় এক হাজার ৮০০ হেক্টর জমির ফসল। বন্যাকবলিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অন্তত ৫৮টি। অনেক জায়গায় তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট। দেখা দিয়েছে নদীভাঙনও।
এর মধ্যে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ ও ইসলামপুর উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ায় ৯ হাজার ৮৩০টি পরিবারের প্রায় ৪৩ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে গ্রামীণ এলাকার প্রায় ৪০ কিলোমিটার রাস্তা। ইসলামপুরে ২৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এক হাজার ৩২৮ হেক্টর আমনক্ষেত তলিয়ে গেছে।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীতীরবর্তী নিচু এলাকায় পানি উঠে দুর্ভোগে পড়েছে কয়েক হাজার পরিবার। এসব এলাকার ফসলি জমি, আমন বীজতলাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চরাঞ্চলের ৭১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০টি প্রতিষ্ঠান নদীভাঙনের শিকার হয়েছে এবং ২০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্লাবিত হয়েছে।
এখন পরিস্থিতি মোকাবেলায় সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নিতে হবে। বন্যাকবলিত মানুষের কাছে পর্যাপ্ত ত্রাণ পৌঁছে দিতে হবে।খাদ্য ও নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করাও অত্যন্ত জরুরি। পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করাসহ ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে। বন্যার পানির কারণে অনেক জায়গায় রাস্তা ডুবে গেছে।
যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। বন্যা উপদ্রুত মানুষের পাশে দাঁঁড়াতে হবে। পর্যাপ্ত ত্রাণের পাশাপাশি বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার জন্য এখন থেকেই কাজ শুরুর কোনো বিকল্প নেই।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, শিগগিরই বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে। পানি নেমে যেতে শুরু করবে। বন্যা-পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে বেশি দৃষ্টি দিতে হবে।
বন্যার পানি সরে যাওয়ার পরপরই নানা রোগব্যাধি দেখা দেবে। এসব রোগ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা এখন থেকেই নিয়ে রাখতে হবে।
এ সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ পর্যাপ্ত ত্রাণ, বিশুদ্ধ পানি ও প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ। আবার বন্যার পানি নামার সময় পানিবাহিত রোগব্যাধির প্রাদুর্ভাব ঘটে। বন্যা-পরবর্তী রোগব্যাধি মোকাবেলায়ও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।
বিবেচনায় রাখতে হবে বন্যাদুর্গত দরিদ্র মানুষের জীবিকার বিষয়টিও। বন্যায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় দরিদ্র জনগোষ্ঠী।
আমরা আশা করব, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এসব বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে।
সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আল কোরআন ও আল হাদিস

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন