English

31 C
Dhaka
মঙ্গলবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৪
- Advertisement -

প্রতিরোধের উদ্যোগ নিন: বাড়ছে বাতব্যাধির সমস্যা

- Advertisements -
বাতের সমস্যা শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বেই বাড়ছে। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে মোট জনসংখ্যার ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ জীবনের কোনো না কোনো সময় কোমর ব্যথায় আক্রান্ত হয় কিংবা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে। নানা ধরনের বাতব্যাধিতেও আক্রান্ত হয়। এর একটি বড় অংশই একসময় কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।

চলাচলেও অক্ষম হয়ে পড়ে। এতে যেমন ব্যক্তির জীবনে আর্থিক বিপর্যয় নেমে আসে, পরিবারেও বোঝা হয়ে ওঠে এবং একসময় মানসিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে পারে।

মানুষের হাঁটাচলা করার অভ্যাস কমে যাচ্ছে। এক জায়গায় দীর্ঘক্ষণ প্রায় একই ভঙ্গিতে কাজ করতে হচ্ছে।

ফাস্ট ফুড, জাংক ফুডসহ খাদ্যাভাস পরিবর্তনের কারণে মানুষ মুটিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে গ্রামাঞ্চলে ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে পুষ্টিহীনতা বাড়ছে। ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, আয়রন ও সিলিকনসমৃদ্ধ খাবার কম খাওয়া হয়। ফলে শরীরের প্রতিরোধক্ষমতা কমে যায়।
অস্থির ভঙ্গুরতা সৃষ্টি হয়। মেরুদণ্ডের অস্বাভাবিকতা তৈরি হয়। এমন মানুষ একসময় বাতব্যাধিতে কাবু হয়ে পড়ে। সোজা হয়ে দাঁড়াতেও সমস্যা হয়। পিঠ, ঘাড়, কোমর, কাঁধসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে তীব্র ব্যথা হয়।
একসময় শয্যাশায়ী হয়ে পড়ে। পরিবারের জন্য বোঝা হয়ে ওঠে। চিকিৎসায় অর্থ জোগাতে জোগাতে নিঃস্ব হয়ে যায়। বাংলাদেশেও বাতব্যাধি নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। এসব গবেষণায় দেখা যায়, শহরের চেয়ে গ্রামের মানুষ বাতজনিত রোগে বেশি ভুগছে। আক্রান্তদের বেশির ভাগই নারী। শিশু, বৃদ্ধ বা তরুণ সব বয়সেই মানুষ বাতের ব্যথায় আক্রান্ত হতে পারে।

চিকিৎসকের ভাষায়, এই বাতকে আর্থ্রাইটিস বলা হয়। রোগীর প্রধান লক্ষণ হলো শরীরের বিভিন্ন হাড়, জয়েন্ট অথবা শরীরের বিভিন্ন অংশ যেমন—ঘাড়, কোমর, হাঁটু, কনুই, কবজি, রগ বা মাংশপেশির ব্যথা। নারীদের বেশি বাত ব্যথায় আক্রান্ত হওয়ার কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘ সময় একইভাবে বসে কাজ করা এবং বেশি ওজন বহন করায় গ্রামের নারীদের এই রোগ বেশি হয়। একই সঙ্গে পুষ্টিহীনতাও তাঁদের বাতব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার বড় কারণ। এই অবস্থায় গতকাল সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও পালিত হয়েছে বিশ্ব আর্থ্রাইটিস দিবস।

বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রদাহজনিত বাত রোগ পুরোপুরি ভালো হয় না। চিকিৎসা নিলে দীর্ঘ সময় ভালো থাকা যায়। নানা কারণে এই রোগ হতে পারে। তাঁদের মতে, সচেতনতা, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, দীর্ঘ সময় একই স্থানে একই ভঙ্গিতে বসে না থাকা, কিছু সময়ের জন্য উঠে পায়চারি করা, ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়ামসহ শরীরের পুষ্টি ঠিক রাখা, সীমিত শরীরচর্চা—এমন আরো কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চললে অনেকটাই ভালো থাকা যায়। আমরা মনে করি, আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বাতব্যাধির নিদানিক চিকিৎসার পাশাপাশি প্রতিরোধমূলক পরামর্শ ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে পর্যাপ্ত উদ্যোগ নেওয়া হবে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন