English

31 C
Dhaka
মঙ্গলবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৪
- Advertisement -

প্রযুক্তিতে আরো এগোতে হবে: পরমাণুশক্তির যুগে বাংলাদেশ

- Advertisements -
৫ অক্টোবর ২০২৩ বাংলাদেশের জন্য এক ঐতিহাসিক দিন। পারমাণবিক জ্বালানি তথা ইউরেনিয়াম গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রবেশ করেছে পরমাণুশক্তির যুগে। এদিন গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে রূপপুর প্রকল্পকে পারমাণবিক স্থাপনা হিসেবে স্বীকৃতির সনদ হস্তান্তর করেন রুশ পরমাণুশক্তি করপোরেশন রোসাটমের ফার্স্ট ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (নিউক্লিয়ার এনার্জি) এন্ড্রি পেট্রভ। এ সময় পারমাণবিক জ্বালানির নমুনা (মডেল) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানের হাতে হস্তান্তর করেন রোসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ।
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রূপপুর পারমাণবিক স্থাপনার স্বীকৃতি অর্জনের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ হলো ঐতিহ্যবাহী আন্তর্জাতিক নিউক্লিয়ার ক্লাবের ৩৩তম সদস্য। আন্তর্জাতিক অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সির (আইএইএ) ডিরেক্টর জেনারেল বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রার প্রশংসা করে বলেন, পরমাণুশক্তির যুগে উত্তরণের ক্ষেত্রে এটি একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত
বাংলাদেশকে স্বাগত জানিয়ে তিনি আশা করেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ অবশ্যই উন্নত দেশে রূপান্তরিত হবে।
বাংলাদেশ ছোট্ট একটি দেশ, অথচ রয়েছে বিপুল জনসংখ্যা। এই জনসংখ্যার কর্মসংস্থান ও অন্যান্য প্রয়োজন মেটানোর জন্য কৃষির উন্নয়নের পাশাপাশি ব্যাপকভাবে শিল্পায়ন প্রয়োজন। আর শিল্পায়নের জন্য প্রথমেই প্রয়োজন পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ এবং যোগাযোগ অবকাঠামো। যোগাযোগ অবকাঠামোতে বাংলাদেশ এরই মধ্যে যথেষ্ট অগ্রগতি করেছে।
বিদ্যুৎ উৎপাদনেও বাংলাদেশ আজ প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ। ফলে শিল্পায়ন দ্রুততর হচ্ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা। সেই চাহিদা মেটাতে পরমাণুবিদ্যুৎ হচ্ছে সবচেয়ে উপযোগী উৎপাদনব্যবস্থা। এর ইউনিটপ্রতি বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ অনেক কম।
সবচেয়ে বেশি খরচ হয় তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে। এর চেয়ে কিছুটা কম গ্যাস ও কয়লাভিত্তিক উৎপাদনে। কিন্তু সেগুলোর সরবরাহ যথেষ্ট নয়। এসবের চেয়ে অনেক কম খরচ হয় পরমাণুবিদ্যুতে। পাশাপাশি এটির পরিবেশদূষণও অনেক কম। আর এখন বিশ্বব্যাপী পঞ্চম প্রজন্মের যেসব পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র হচ্ছে, সেগুলোতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি নেই বললেই চলে।
রাশিয়া বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু। মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় সহযোগিতা ছিল তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের। স্বাধীনতার পরও চট্টগ্রাম বন্দর মাইনমুক্ত করতে গিয়ে জীবন দিতে হয়েছে সোভিয়েত সেনাবাহিনীর অনেক সদস্যকে।
স্বাভাবিকভাবেই আয়োজিত অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, আমি কৃতজ্ঞতা জানাই বন্ধুপ্রতিম রাশান ফেডারেশনের সরকার এবং জনগণের প্রতি, যারা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ও যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে অসামান্য সহযোগিতা করেছিল এবং আমাদের এই স্বপ্নের প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সহযোগিতা বাড়িয়ে দিয়েছিল। ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, বাংলাদেশ রাশিয়ার পরীক্ষিত বন্ধু। আমাদের সম্পর্ক সমতা, পরস্পরের জন্য শ্রদ্ধা ও পরস্পরের স্বার্থ মেনে নেওয়ার ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে সহায়তার মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
এর পর থেকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে রাশিয়া কাজ করছে। বড় শিল্প ও বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়া সহায়তা করেছে।আমরা বিশ্বাস করি, ভবিষ্যতেও দুই দেশের এই বন্ধুত্ব অটুট থাকবে। স্মার্ট বাংলাদেশ অর্জনের পথে পরমাণুবিদ্যুৎ কার্যকর ভূমিকা রাখবেএমনটাই আমাদের প্রত্যাশা।
সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন