English

31 C
Dhaka
সোমবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৪
- Advertisement -

বর্ষার আগেই সংস্কার করুন: বাঁশখালীতে বেড়িবাঁধে ধস

- Advertisements -
বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব ক্রমেই তীব্র হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাসের সংখ্যা ও তীব্রতা—দুটিই বাড়ছে। ক্রমাগতভাবে বাড়ছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা। সারা পৃথিবীতেই উপকূলীয় নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যাচ্ছে।
অনেক দ্বীপদেশ অস্তিত্ব হারাচ্ছে। বাংলাদেশেও বিস্তীর্ণ উপকূলীয় অঞ্চল তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে, পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে উপকূলের প্রায় দুই কোটি মানুষের জীবন হুমকিতে পড়বে। উপকূলীয় জনজীবন রক্ষায় সরকার নানা ধরনের প্রকল্প গ্রহণ করছে।
কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়নের দুরবস্থা, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার, কাজের স্বচ্ছতা ও তদারকির অভাব ইত্যাদি কারণে জনগণ সেসবের সুফল প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। প্রকল্পের কাজ শেষ হতে না হতেই শত শত কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত উপকূলীয় বাঁধে ফাটল ধরছে কিংবা জোয়ারের পানিতে অংশবিশেষ ভেসে যাচ্ছে। গতকাল এমনই একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে।
জানা যায়, বাঁশখালীর পুকুরিয়া থেকে ছনুয়া পর্যন্ত সাগর ও নদীর তীরে নির্মিত ৩৩ কিলোমিটার দীর্ঘ বেড়িবাঁধের ২৪টি স্থানে ধসের সৃষ্টি হয়েছে।
অথচ প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে মাত্র দুই বছর আগে, ২০২২ সালে। আসন্ন বর্ষায় ছোটখাটো জলোচ্ছ্বাস কিংবা অস্বাভাবিক জোয়ার হলেও গ্রামের পর গ্রাম তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। স্থানীয় লোকজনের মতে, বাঁধের নির্মাণকাজ মানসম্মত না হওয়ার কারণেই তারা আজ এক বিপজ্জনক পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে।
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে গৃহীত স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ কয়েক দফা সময় বাড়ানোর পর ২০২২ সালে সম্পন্ন হয়। কিন্তু ২০২৩ সালে অর্থাৎ কাজ শেষ হওয়ার এক বছর যেতে না যেতেই বেড়িবাঁধের কয়েকটি স্থানে ফাটল ধরে।
আর এখন সেসব স্থানে ধসের সৃষ্টি হচ্ছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বাঁধে অত্যন্ত নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। খানখানাবাদ উপকূলের কদমরসুল গ্রামে বেড়িবাঁধ জোয়ার-ভাটার গ্রোতে প্রতিদিনই একটু একটু করে ভাঙছে।

একই দৃশ্য দেখা যায় প্রেমাশিয়া, খানখানাবাদ গ্রাম, পুকুরিয়ার তেইচ্ছিপাড়া, সাধনপুরের রাতা খোর্দ, ছনুয়ার ছোঁ ছনুয়া ইত্যাদি এলাকায়। সিসি ব্লকের সিমেন্ট উঠে গিয়ে সিসি ব্লক ভেঙে গেছে।

কিছু অংশে গত বর্ষায় বেড়িবাঁধের ভাঙন ঠেকাতে জরুরিভাবে ডাম্পিং করা হাজার হাজার জিও ব্যাগও বঙ্গোপসাগর কিংবা সাঙ্গু নদীর গর্ভে তলিয়ে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপবিভাগীয় প্রকৌশলী অনুপম পাল জানান, বাঁশখালী উপকূলের বেড়িবাঁধের জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।

তবে তা আগামী বর্ষার আগে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাহলে আগামী বর্ষায় বাঁশখালী উপকূলের বাসিন্দাদের কী হবে? তাদের জানমালের নিরাপত্তা কে দেবে?

আমরা আশা করি, আসন্ন বর্ষার আগেই বাঁশখালীর উপকূল রক্ষা বাঁধের প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করা হবে। পাশাপাশি নির্মাণকাজের এমন দুর্গতির প্রতিকার করতে হবে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আল কোরআন ও আল হাদিস

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন