English

28 C
Dhaka
শুক্রবার, মে ৩, ২০২৪
- Advertisement -

বিধিমালা চূড়ান্ত করুন: মাদকাসক্ত শনাক্তে ডোপ টেস্ট

- Advertisements -
বাংলাদেশে মাদকের উপস্থিতি ক্রমেই বাড়ছে। বাড়ছে মাদকসেবীর সংখ্যা। কিশোর-তরুণদের কাছে মাদক সহজলভ্য হয়ে উঠছে। দেশে মাদকাসক্তের ৮০ শতাংশই যুবক। মোট মাদকাসক্তের মধ্যে ৪৮ শতাংশ শিক্ষিত। এই হিসাবে একটি বড় জনশক্তি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে মাদকের কারণে। ২০২১ সালে মাদকাসক্ত চিহ্নিত করতে সব পর্যায়ে ডোপ টেস্ট কার্যক্রম চালুর তাগিদ দিয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।গত বছর এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে ডোপ টেস্ট করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বলেছিলেন, চাকরিতে যোগদান করার আগে সিভিল সার্জন যেসব পরীক্ষা করেন, সেখানে ডোপ টেস্ট করা হবে।

এটা ব্যাপকভাবে করতে হলে জেলায় জেলায় অবকাঠামো উন্নয়ন করতে হবে। গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক খবরে বরা হয়েছে, দেশের ২০টি জেলায় পরীক্ষাগার (ল্যাব) স্থাপন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।

বিভিন্ন জেলায় মিনি ল্যাব বসানোসহ ডোপ টেস্ট কার্যক্রম চালু করতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর একটি প্রকল্প প্রস্তাব প্রণয়ন করেছে। প্রকল্পটি বর্তমানে পরিকল্পনা কমিশনে অনুমোদনের অপেক্ষায়। রাজধানীর বাইরে চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগীয় শহরে ডোপ টেস্টের সুযোগ থাকলেও প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে তা শুরু করা যায়নি।

সব ধরনের সরকারি চাকরিতে মাদকাসক্ত শনাক্তে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করার ব্যাপারে উচ্চ আদালতেরও নির্দেশনা রয়েছে। সংসদীয় কমিটির পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রেও ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করা হয়েছে।পেশাদার গাড়িচালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক। পুলিশ সদস্যদের মাদকমুক্ত করতে তিন বছর আগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে ডোপ টেস্ট বা মাদক পরীক্ষা শুরু হয়। এ সময়ের মধ্যে ডিএমপির কনস্টেবল থেকে উপপরিদর্শক (এসআই) পদমর্যাদার ১২৬ জন মাদকাসক্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। চাকরিচ্যুত হয়েছেন ১১৬ জন।

মাদকদ্রব্য কেনাবেচা ও সেবন রোধে প্রণীত ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮’তে মাদকাসক্ত শনাক্তে পরীক্ষা (ডোপ টেস্ট) করার বিধান রাখা হয়েছে। প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, গত পাঁচ বছরে মাত্র সাড়ে ছয় হাজার ডোপ টেস্ট করা সম্ভব হয়েছে।

এ ক্ষেত্রে বড় বাধা বিধিমালা। বিধিমালার খসড়া তৈরি করা হলেও এখনো চূড়ান্ত হয়নি। সম্প্রতি জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বলা হয়েছে, ডোপ টেস্ট বিধিমালা-২০২২ (খসড়া) প্রণয়ন করা হয়েছে। বর্তমানে তা সুরক্ষা সেবা বিভাগের বিবেচনাধীন।

সব ধরনের মাদক প্রতিরোধে সরকারকে কঠোর ও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। মাদকাসক্ত চিহ্নিত করতে সব পর্যায়ে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করার কোনো বিকল্প নেই। আর সে জন্য ডোপ টেস্ট বিধিমালা-২০২২ চূড়ান্ত করতে হবে। পাশাপাশি দেশের সব জেলায় পরীক্ষাগার (ল্যাব) স্থাপন করুন।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন