English

35 C
Dhaka
শনিবার, মে ৪, ২০২৪
- Advertisement -

শিক্ষাকে কর্মমুখী করতে হবে: শিক্ষিত বেকার বেশি

- Advertisements -
উচ্চ বেকারত্ব যেকোনো দেশের জন্যই একটি বড় সমস্যা। এটি অর্থনৈতিক বিকাশের শ্লথগতি নির্দেশ করে। সামাজিক স্থিতিও নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অথচ বাংলাদেশে বরাবরই বেকারত্বের হার অনেক বেশি।
গত বুধবার প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০২২ সালের শ্রমশক্তি জরিপের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে বর্তমানে বেকারের সংখ্যা ২৫ লাখ ৮২ হাজার। এর মধ্যে ১৮ লাখ ১৩ হাজার গ্রামে এবং সাত লাখ ৬৯ হাজার শহরে। গ্রামে বেকারের মোট সংখ্যা বেশি হলেও বেকারত্বের হার শহরেই বেশি। শহরে বেকারত্বের হার ৪.১৯ শতাংশ আর গ্রামে তা ৩.৩২ শতাংশ।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, উচ্চশিক্ষিতদের মধ্যেই বেকারত্ব বেশি। তাদের মধ্যে বেকারত্বের হার ১২ শতাংশ। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বাস্তবে বেকারত্বের হার আরো বেশি হতে পারে। তাঁরা উচ্চশিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বৃদ্ধিকে খুবই উদ্বেগজনক মনে করছেন এবং এ জন্য শিক্ষার বর্তমান ধরনকেই দায়ী করছেন।
বিবিএসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রি নিয়ে বেকার জীবন যাপন করছেন প্রায় আট লাখ নারী-পুরুষ। পরিবারের কয়েক লাখ টাকা খরচ করে বেকার বসে থাকা একজন উচ্চশিক্ষিত তরুণের কাছে খুবই বিব্রতকর। প্রতিকারের কোনো উপায়ও তাঁদের জানা নেই। পরিবারগুলোও হতাশায় ভোগে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমাদের বর্তমান যে শিক্ষাব্যবস্থা তার সঙ্গে কর্মবাজারের চাহিদার কোনো সামঞ্জস্য নেই।
এ কারণেই উচ্চশিক্ষা গ্রহণকারীদের মধ্যে বেকারের সংখ্যা বেশি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোনো আনুষ্ঠানিক শিক্ষা নেই, এমন ব্যক্তিদের মধ্যে বেকার ১ শতাংশের একটু বেশি। সংখ্যার দিক থেকে এমন বেকার এক লাখ ৫৩ হাজার। এ ছাড়া প্রাথমিকের গণ্ডি পেরোনোদের মধ্যে ১.৬৯ শতাংশ বা তিন লাখ ২২ হাজার বেকার রয়েছে। এ ছাড়া মাধ্যমিক পাস করেছে, এমন জনগোষ্ঠীর মধ্যে ২.৮২ শতাংশ বা সাত লাখ ৩৯ হাজার বেকার।
উচ্চ মাধ্যমিক পাস বেকার ৪.৯৪ শতাংশ। শিক্ষার সঙ্গে বেকারত্ব যেন তাল মিলিয়ে এগোচ্ছে। নারীরাও ক্রমে বেশি করে শ্রমবাজারে যুক্ত হচ্ছে। ২০১০ সালে এক কোটি ৭২ লাখ নারী শ্রমশক্তিতে ছিল, এখন সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে দুই কোটি ৫৮ লাখ। কিন্তু আমাদের শিল্পায়ন ও অন্যান্য উদ্যোগ একইভাবে এগোচ্ছে না। ফলে চাহিদার তুলনায় কর্মসংস্থান কম হচ্ছে।
অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সামাজিক স্থিতির স্বার্থে কর্মসংস্থান বাড়াতে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে হবে। শিল্পায়নকে এগিয়ে নিতে হবে। পাশাপাশি কর্মমুখী শিক্ষার ওপর জোর দিতে হবে। শুধু দেশের নয়, বিদেশের শ্রমবাজারের চাহিদা বিবেচনা করেও কারিগরি শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে। একই সঙ্গে সারা দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির ওপরও গুরুত্ব দিতে হবে।
সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন