English

30 C
Dhaka
শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪
- Advertisement -

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবি: সীমিত পরিসরে খুলে দেখা যেতে পারে

- Advertisements -

করোনা মহামারির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আট মাস ধরে বন্ধ। স্কুল না থাকায় শিক্ষার্থীরা, বিশেষ করে শিশু-কিশোর শিক্ষার্থীরা শিক্ষণপ্রক্রিয়া থেকে ক্রমেই দূরে সরে যাচ্ছে। এই অবস্থায় শিক্ষক ও অভিভাবকদের পক্ষ থেকে দ্রুত স্কুল খুলে দেওয়ার দাবি উঠেছে। কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলো খুলে দেওয়ার দাবিতে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ঐক্য পরিষদ কর্মসূচি ঘোষণা করবে বলেও জানিয়েছে। অবশ্য ১৪ নভেম্বরের পর সীমিত পরিসরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়ে সরকারও চিন্তা-ভাবনা করছে।
শুধু বাংলাদেশেই নয়, করোনা মহামারির কারণে সারা পৃথিবীতেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। মহামারির প্রকোপ কিছুটা কমে এলেও অনেক দেশই আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়েছে। দ্বিতীয়বার করোনার ব্যাপক সংক্রমণ শুরু হলে অনেক দেশ আবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে। বাংলাদেশে সংক্রমণের হার কিছুটা কমলেও বিশেষজ্ঞরা দ্বিতীয় দফা সংক্রমণ শুরুর আশঙ্কা করছেন। এমন অবস্থায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার মতো বড় একটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সম্ভাব্য নানা দিক নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করতেই হবে। তবে এটাও ঠিক, এই আট মাসে শিক্ষাক্ষেত্রে যে ক্ষতি হয়েছে, তা কাটিয়ে ওঠা খুবই কষ্টকর হবে। দেশে প্রাথমিকে ভর্তির হার প্রায় শতভাগে উন্নীত হয়েছিল।
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষায় ছেলে ও মেয়েদের অংশগ্রহণ প্রায় সমান হয়েছিল। শিক্ষার মাঝখানে ঝরে পড়ার হারও অনেক কমেছিল। কিন্তু সব হিসাব উল্টে যেতে শুরু করেছে। দরিদ্র অভিভাবকরা শিশুদের অন্য কাজে লাগিয়ে দিচ্ছেন। কন্যাশিশুরা বেশি করে বাল্যবিয়ের শিকার হচ্ছে। এসব কারণে ঝরে পড়ার হার আবার বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরাও মনে করছেন, ঝরে পড়া রোধে দ্রুত কিছু করা প্রয়োজন। আবার সংসদ টেলিভিশন বা অনলাইন ক্লাসের কারণে শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্য বাড়ছে। সংসদ টেলিভিশন দেখতে ডিশ সংযোগ থাকতে হয়। ডিশ সংযোগ কেন, বস্তি বা গ্রামাঞ্চলের অনেক দরিদ্র পরিবারে টেলিভিশনই নেই। আবার মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট সংযোগ কিনে ক্লাস করার সক্ষমতাও নেই অনেকের। ফলে শহরাঞ্চলের অপেক্ষাকৃত সচ্ছল পরিবারের সন্তানদের তুলনায় দরিদ্র পরিবার এবং গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে।
স্কুল বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীরা কিন্তু ঘরে থাকছে না। খেলাধুলা, আড্ডা কিংবা ঘোরাঘুরিতে সময় কাটাচ্ছে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী। এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি আরো বেড়ে যাচ্ছে। আবার শিক্ষা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার ঝুঁকিও থাকছে। তাই অনেক শিক্ষক ও অভিভাবক মনে করেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়াই ভালো। তবে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। প্রয়োজনে একটি ক্লাসের শিক্ষার্থীদের তিন ভাগে ভাগ করে সপ্তাহে দুদিন করে ক্লাস নিতে হবে, যাতে ক্লাসে দূরত্ব বজায় রাখা যায়। হাত ধোয়া, মাস্ক পরাসহ অন্যান্য নিয়ম-কানুনও কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন