English

24 C
Dhaka
রবিবার, মে ৫, ২০২৪
- Advertisement -

সুষ্ঠু বিচার হোক: হাসেম ফুডে অগ্নিকাণ্ডে অভিযোগপত্র

- Advertisements -
২০২১ সালের ৮ জুলাই নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কর্ণগোপ এলাকায় হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের কারখানায় আগুনে ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ঘটনার দুই বছর পর গত রবিবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন।প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, অভিযোগপত্রের অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলা থেকে এজাহারভুক্ত আসামি কারখানার মালিক ও তাঁর চার ছেলেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অভিযোগপত্রে কারখানার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ চার কর্মকর্তা এবং সরকারের কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের দুই পরিদর্শককে আসামি করা হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডের ওই ঘটনায় মামলা হওয়ার পর পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, ফায়ার সার্ভিসসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রাথমিক তদন্তে শ্রমিকদের মৃত্যুর জন্য সরাসরি দায় পাওয়ায় মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে হত্যার ধারায় মামলা করা হয়।সজীব গ্রুপের ‘হাসেম ফুড’ কারখানা ভবনে অগ্নিকাণ্ডে আটকে পড়ে শ্রমিকদের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যানসহ আটজনকে গ্রেপ্তারও করে পুলিশ। ওই মামলায় নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে আটজনকে চার দিনের রিমান্ডেও নেওয়া হয়। সেই সময় ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঘটনাটিকে ‘হত্যা’ অভিহিত করেছিলেন।
তদন্ত করে দোষীদের বিচারের মুখোমুখি করার আশ্বাসও দিয়েছিলেন তিনি।
অন্যদিকে মামলা থেকে এজাহারভুক্ত আসামি কারখানার মালিক ও তাঁর চার ছেলেকে অব্যাহতি দেওয়া প্রসঙ্গে মামলার বর্তমান তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেছেন, তাঁর আগে আরো চার কর্মকর্তা মামলাটি তদন্ত করেছেন। তদন্তে তাঁদের প্রাপ্ত ফল তিনি নতুন তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল করেছেন।
তদন্তে কারখানার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় কারখানার মালিকসহ পাঁচজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে মামলার বাদী তত্কালীন ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বলেছেন, এই ঘটনায় কারখানার মালিক দায় এড়াতে পারেন না। এ কারণে হত্যা মামলা করা হয়েছিল।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতার কর্ণগোপ এলাকায় সজীব গ্রুপের মালিকানাধীন হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ছয়তলা কারখানা ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর বেরিয়ে আসে নানা অসংগতি। তাত্ক্ষণিকভাবে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছিল, ফয়েল পেপার, তেলসহ বিভিন্ন দাহ্য পদার্থের কারণে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে, যা নিয়ন্ত্রণ করা তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে।
কারখানা ভবনটিতে আগুন নেভানোর প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ছিল না। শিশুশ্রমের বিষয়টিও নতুন করে সামনে চলে আসে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায়।
ঘটনার তদন্তে ফায়ার সার্ভিস পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। এ ছাড়া পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে কলকারখানা পরিদপ্তরও। ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও সাত সদস্যের আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এসব তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনও নিশ্চয়ই মামলায় বিবেচনায় নেওয়া হবে। এই মামলার সুষ্ঠু বিচার হোক, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আল কোরআন ও আল হাদিস

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন