English

26 C
Dhaka
শুক্রবার, মে ৩, ২০২৪
- Advertisement -

প্রতিরোধে সক্রিয় হতে হবে: পণ্যের আড়ালে সোনার চালান

- Advertisements -
Advertisements
Advertisements

চোরাপথে দেদার সোনা আসছে দেশে। দেশে আনার পর এই সোনা আবার পাচার করা হচ্ছে পাশের দেশে। গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী তৈরি পোশাক কারখানার পণ্যের আড়ালে সোনা নিয়ে আসছে পাচারকারীরা। মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে সোনার চালান কুরিয়ার সার্ভিসের পার্সেলে উড়োজাহাজে করে পরিবহন করা হচ্ছে।

গত রবিবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জব্দ করা ১১ কেজি ওজনের ৯৬টি বার গার্মেন্টের ধাতব বোতাম বলে আনা হয়েছে। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের (সিআইআইডি) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত ১৫৪ কেজি সোনা জব্দ করেছে সংস্থাটি। ২০২০-২১ অর্থবছরে ১৭৪ কেজি এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১৮০ কেজি সোনা জব্দ করেছে তারা। রবিবার ৯৬টি বার ধরার আগে সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার সকালে দুবাই থেকে আসা বিমানের একটি ফ্লাইট থেকে ১০ কেজি ওজনের ৯০টি সোনার বার জব্দ করে সিআইআইডি।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানিয়েছেন, সোনা বেশি আসে সিঙ্গাপুর ও দুবাই থেকে। এখন চীন থেকে আনার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। ২০২১ সালে ব্যাগেজে ৩৬ টন সোনা এসেছে। ২০১৮ সালে নীতিমালা হওয়ার পর বৈধ পথে আমদানি হয়েছে মাত্র ২৫৩ কেজি সোনা। অনুমান করা যেতে পারে, অনেক সোনা চোরাচালান হয়ে দেশে এসেছে এবং অন্যত্র চলেও গেছে। সেই পরিমাণ ধরা পড়া সোনার চেয়ে অনেক বেশিও হতে পারে।
সাদা চোখে দেখলে এর মধ্যে হয়তো বড় ধরনের বিপদের আশঙ্কা খুঁজে পাওয়া যাবে না। কিন্তু একটু তলিয়ে দেখলেই বোঝা যাবে, এর সঙ্গে দেশের জন্য কত বড় বিপদের ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। সাধারণত সোনা চোরাচালানের অর্থ পরিশোধ করা হয় হুন্ডির মাধ্যমে। আবার এর সঙ্গে অস্ত্র চোরাচালানেরও একটি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলে অনুমান করা যেতে পারে। যেসব ব্যক্তি এই চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত, তাদের পক্ষে অবৈধ অর্থ উপার্জনের জন্য যেকোনো ধরনের অপরাধকর্মে যুক্ত হওয়াও অবাস্তব কিছু নয়।

চোরাচালান দেশের অর্থনীতির জন্য হুমকি। সরকারের নীতিনির্ধারক ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী বিষয়টি নিয়ে জরুরিভাবে চিন্তা-ভাবনা করবে এবং দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন