English

28 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪
- Advertisement -

হাতির অভয়ারণ্য রক্ষা করুন: চকরিয়ায় অবৈধ ইটখোলা

- Advertisements -
Advertisements
Advertisements

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় সংরক্ষিত বনাঞ্চল ধ্বংস করছে ইটখোলা। চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের উচিতারবিল মৌজায় হাতির অভয়ারণ্য হিসেবে খ্যাত এই বনাঞ্চলটির অবস্থা এখন অত্যন্ত শোচনীয়। জিএলভি নামের ইটখোলাটিতে ইট তৈরির মাটি আনা হয় পাহাড় ও টিলা কেটে, কয়লার পরিবর্তে পোড়ানো হয় বনের গাছ। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা ইটখোলার অত্যাচারে বনের বিশাল এলাকা রীতিমতো বিরানভূমিতে পরিণত হয়েছে।

অনেক টিলা কেটে সমতলভূমিতে পরিণত করা হয়েছে। বেশ কয়েকবার ইটখোলাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ইটখোলা মালিককে ছয় মাসের কারাদণ্ডও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় এক নেতার মালিকানাধীন ইটখোলাটি কোনো কিছুকেই পরোয়া করছে না। গত বুধবারও পরিবেশ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে ইটখোলার চুলা গুঁড়িয়ে দেয়। ইটখোলা আবার চালু না করার জন্য কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু মাত্র দুই দিন।
তারপর আবার যথারীতি শুরু হয়েছে ইটখোলার কার্যক্রম। বাংলাদেশে যে কয়েকটি বনাঞ্চলে এখনো খুব সামান্য পরিমাণে হাতির বিচরণ রয়েছে, এই সংরক্ষিত বনাঞ্চলটি তার মধ্যে অন্যতম। এখানে বন্য হাতি সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনায় একটি প্রকল্প প্রস্তাবও তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু যেখানে বনই থাকছে না, সেখানে প্রকল্প তৈরি করে কী লাভ হবে? প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, ২০১০ সালে অভয়ারণ্যের গা ঘেঁষে তৈরি করা হয় এই ইটখোলা, যদিও প্রচলিত আইনে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের সীমানার তিন কিলোমিটারের মধ্যে কোনো ইটখোলা স্থাপন করা যায় না। সে কারণে ইটখোলাটির অনুমোদন নেই। পরিবেশ ছাড়পত্রও নেই। ইটখোলা স্থাপনের সময় আশপাশে অর্ধশতাধিক ছোট-বড় পাহাড় ছিল। আজ প্রায় সবই সমতলভূমি।
এখন একটু দূরের পাহাড় থেকেও মাটি আনা হচ্ছে। অভয়ারণ্যের গাছপালাও প্রায় সাবাড় করে দেওয়া হয়েছে। এখন সেখানে হাতির আবাসস্থল নেই বললেই চলে। ফলে বন্য হাতি বাধ্য হয়ে খাদ্যের জন্য লোকালয়ে হানা দেয় এবং মানুষের রোষানলের শিকার হয়।
স্থানীয় প্রশাসন কিংবা পরিবেশ অধিদপ্তর একজন ব্যক্তির দাপটের কাছে এত অসহায় কেন? অবৈধ হওয়া সত্ত্বেও একটি ইটখোলা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চলে কিভাবে? শুধু একটি ইটখোলা নয়, বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, শুধু কক্সবাজার জেলায়ই এমন অনেক ইটখোলা রয়েছে, যেগুলো সংরক্ষিত বনাঞ্চলের তিন কিলোমিটার কেন, বনের গা ঘেঁষে তৈরি করা হয়েছে। অবিলম্বে এসব ইটখোলা গুঁড়িয়ে দিতে হবে। ইটখোলার মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরসহ কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। তার আগে জিএলভি নামের ইটখোলাটি বন্ধ করে সেখানে হাতির অভয়ারণ্য রক্ষা ও উন্নয়নের যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন