পাকিস্তানের অভিনেত্রী সানা জাভেদকে কিছুদিন আগে বিয়ে করেন শোয়েব মালিক। নিজের তৃতীয় বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক। ভারতীয় টেনিস তারকা সানিয়ার মির্জার সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ায় হতাশ হয়েছিলেন উপমহাদেশের ক্রীড়াপ্রেমীদের একাংশ। তবে শোয়েবের পাশে দাঁড়িয়েছেন পাকিস্তানের আরেক অভিনেত্রী শাইস্তা লোধি।
সংবাদমাধ্যম থেকে জানা যায়, শোয়েব-সানার বিয়েতে হাতে গোনা যে ক’জন অতিথি ছিলেন, তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন শাইস্তা। শোয়েবের দীর্ঘ দিনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু তিনি। এছাড়া সানার সঙ্গেও তার ভালো সম্পর্ক রয়েছে। তিনি শোয়েবের তৃতীয় বিয়েতে কোনো অন্যায় দেখছেন না। যে কোনো বিতর্কেই তাকে শোয়েবের পাশে দেখা যায়। এবারও তেমনটি হলো।
শাইস্তা সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘শোয়েব-সানা বিয়ে করে কোনো অন্যায় করেনি। এত বিতর্কের কী আছে, তাও বুঝতে পারছি না। একটা বিষয় সবাইকে বুঝতে হবে। বিয়ের সময় শোয়েব এবং সানা দু’জনেই অবিবাহিত ছিল। শোয়েবের সঙ্গে অনেক আগেই বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছিল সানিয়া মির্জার। সানার সঙ্গেও উমের জায়ওয়ালের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছিল। দু’টি বিচ্ছেদের ক্ষেত্রেই কোনো সমস্যা ছিল না। তা হলে শোয়েব-সানার বিয়েতে সমস্যা কোথায়?’
এই অভিনেত্রীর মতে, শোয়েব-সানিয়ার বা সানা-উমেরের বিচ্ছেদ নিয়ে কোনো বিতর্ক, অশান্তি হয়নি। আবার শোয়েব-সানা বিয়ে নিয়েও বিতর্কের কোনো জায়গা নেই। তার অভিযোগ, কিছু মানুষ অকারণে বিতর্ক তৈরির চেষ্টা করছেন। অথচ যে চার জন সব থেকে বেশি যুক্ত এই ঘটনার সঙ্গে, তাদের কারো কোনো প্রতিক্রিয়া নেই।
কিছুটা বিরক্তির সুরে তিনি বলেছেন, ‘আসলে এই সব মানুষের কোনো কাজ নেই। হাতে প্রচুর সময়। কী ভাবে সময় কাটাবে, বুঝতে পারে না। তাই নানা জল্পনা তৈরি করে।’
শাইস্তার দাবি, ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, তারা সকলে প্রাপ্তবয়স্ক এবং জীবনে সফল। সকলের যথেষ্ট বুদ্ধি-বিবেচনা রয়েছে। তাই নিজেদের ব্যাপারে স্বাধীন ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার তাদের আছে। সকলের উচিত তাদের সিদ্ধান্তকে সম্মান করা।