নন্দিত কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, চলচ্চিত্র নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের হাত ধরেই শোবিজে পা রাখেন চ্যালেঞ্জার। প্রথম নাটকে ছোট্ট একটি চরিত্র ছিল তার। কিন্তু অল্প দিনেই শোবিজে শক্ত একটি অবস্থান গড়ে তুলেছিলেন তিনি। পেয়েছিলেন ব্যাপক জনপ্রিয়তাও। তার চ্যালেঞ্জার নামটিও দিয়েছিলেন হুমায়ূন আহমেদ। আর তিনিও সবচেয়ে বেশি অভিনয় করেছেন হুমায়ূন আহমেদের নাটক ও সিনেমায়।
২০১০ সালের ১২ অক্টোবর মস্তিষ্কের ক্যানসারে মারা যান চ্যালেঞ্জার। মাত্র ৫১ বছর বয়সে নিভে যায় অসামান্য এক অভিনেতার জীবন প্রদীপ। আজ এই অভিনেতার জন্মদিন। বিশেষ এদিনে তাকে স্মরণ করছেন ভক্ত-অনুরাগীরা। তার ছোট বোন অভিনেত্রী মনিরা মিঠুও ভাইকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন।
ভাইয়ের বেশ ক’টি ছবি প্রকাশ করে ফেসবুকে মনিরা মিঠু লিখেছেন, ‘ভাইজান, আমার এই অগোছালো জীবনে আপনাকে খুব বেশি মিস করি। আল্লাহ যেন আপনার সমস্ত গুনাহ মাফ করে আপনাকে শান্তিতে রাখেন। শুভ জন্মদিন ভাইজান।’
বলা দরকার, অভিনেতা চ্যালেঞ্জার ১৯৫৯ সালে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। তার মেজ ভাই চাকরিজীবী এবং ছোট ভাই অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী। তার দুই বোনের একজন মনিরা মিঠু অভিনেত্রী আর আরেকজন গৃহিণী। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে যান। ছেলে থাকেন ঢাকায় আর মেয়ে অস্ট্রেলিয়া।
অভিনেত্রী মনিরা মিঠু জানান, তার ভাইয়ের আসল নাম এ এফ এম তোফাজ্জল হোসেন। নাম পাল্টে তাকে চ্যালেঞ্জার বানিয়ে দেন জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদ। তারই ‘হাবলঙ্গের বাজার’ নাটকের মাধ্যমে টিভি নাটকে অভিনয় শুরু করেন অভিনেতা চ্যালেঞ্জার।
এরপর হুমায়ূন আহমেদের ‘উড়ে যায় বকপক্ষী’, ‘চন্দ্রকারিগর’, ‘কালা কইতর’, ‘বৃক্ষমানব’, ‘যমুনার জল দেখতে কালো’, ‘লীলাবতী’, ‘জুতা বাবা’, ‘খোয়াব নগর’, ‘চোর’, ‘পিশাচ মকবুল’সহ অসংখ্য নাটকে অভিনয় করেছেন চ্যালেঞ্জার।