English

35 C
Dhaka
সোমবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৪
- Advertisement -

সুস্থ হয়ে শারমিন গাইলেন বিচ্ছেদের গান ‘পারলে একবার দেইখ্যা যাইও’

- Advertisements -

জীবন মৃত্যুর সাথে লড়াই করে চ্যানেল আইয়ের সেরা কণ্ঠের চ্যাম্পিয়ন জনপ্রিয় ফোক শিল্পী শারমিন এখন পুরোপুরি সুস্থ্। সুস্থ হয়েই শারমিন গাইলেন বিচ্ছেদের গান ‘পারলে একবার দেইখ্যা যাইও’।

সাংবাদিক নেতা ও গীতিকার মোল্লা জালালেরর কথা ও সুরে Trital music & Drama ইউটিব চ্যানেলে ১৯ মে মুক্তি পেয়েছে শারমিন এর কন্ঠে ‘পারলে একবার দেইখ্যা যাইও… শিরোনামের বিচ্ছেদ গানটি। জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে শারমিন অনেকদিন গানের জগতের বাইরে ছিলেন। তার এই সুস্থতার জন্য মহান আল্লাহ তায়ালার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি।

Advertisements

তিনি বলেন, ‘একমাত্র মহান প্রভুর অশেষ রহমতই আমাকে মৃত্যুর হাত থেকে ফিরিয়ে এনেছেন। কোটি কোটি মানুষের ভালোবাসা আর দোয়ার কারণেই আজ আমি গাইতে পারছি’।

টানা দুই মাসের বেশি সময় তিনি ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ময়মনসিংহের নান্দাইলের মেয়ে শারমিন ছোট বেলা থেকেই তার পিতা বাউল শিল্পী হুমায়ুন কবীরের কাছে তালিম নেন। ২০১৫ সালে চ্যানেল আই আয়োজিত রিয়েলিটি শো সেরা কণ্ঠের মাধ্যমে চ্যাম্পিয়ন হয়ে লাইম লাইটে আসেন। সেই থেকে শুরু। আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। মাত্র অল্প সময়ের মধ্যে বিচ্ছেদ গানে শারমিন নিজের শক্ত অবস্থান নেন। শারমিনের গাওয়া গানের কোটি কোটি ভিউ হতে থাকে। হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তিনি আর গাইতে পারেননি। নতুন করে গাইতে শুরু করেছেন আবার। সে ধারাবাহিকতাতেই তার বিচ্ছেদ গান- ‘পারলে একবার দেইখ্যা যাইও/তোমার সোনার চাঁন/বাঁইচা নাকি গেছে মইরা/আছে কি নাই প্রান’।

বিএফইউজে’র সাবেক সভাপতি সাংবাদিক নেতা মোল্লা জালাল বার্তা সংস্থা এনএনবি-তে কাজ করার পাশাপশি বিভিন্ন পত্রিকায় কলাম লিখেন এবং মাঝে মধ্যে গান লিখে কখনো নিজে সুর করেন আবার কখনো বিশিষ্ট সুরকারদের দিয়ে সুর করিয়ে থাকেন। তিনি সাধারণত দেহত্ত্ব,সৃষ্টিত্ত্ব,বাউল-বিচ্ছেদ ঘরানার লোক গান এবং দেশাত্ববোধক গানই বেশি লিখে থাকেন।

Advertisements

ইতোমধ্যে তার লেখা দেশাত্ববোধক গানে সুর করেছেন, ওস্তাদ আলাউদ্দীন আলী, শেখ সাদী খান, সুজেয় শ্যাম, সেলিম আশরাফ, আজাদ মিন্টু, নাজির মাহমুদ, বাপ্পা মজুমদার, ইমন সাহা, বেলাল খান। দেশাত্ববোধক এই গানগুলো গেয়েছেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্য, সামিনা চৌধুরী, ফাহমিদা নবী, রফিকুল আলম, ফকির সাহাবুদ্দিন, কনক চাঁপা, রোমানা ইসলাম, আলম আরা মিনু, ডলি সায়ন্তনী, নাজির মাহমুদ ও প্রয়াত সুবীর নন্দী।

এছাড়াও নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের মধ্যে যারা তার লেখা গান গেয়েছেন তাদের মধ্যে সাব্বির জামান, বিন্দু কনা, কাজী শুভ, রুকসার রহমান, লেমিস, রুনা বিক্রমপুরী, রাজু মন্ডল, মুন মোনালিসা, শামসুন্নাহার বিউটি অন্যতম।

মোল্লা জালাল মনে করেন, বাংলা গানকে টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে মূলধারার লোক গানের আরো বেশি চর্চা হওয়া দরকার। এ ব্যাপারে গীতিকার, সুরকার ও শিল্পীদের সচেতন হতে হবে। মানুষ চায় বলেই তারা লিখে, গায়, এটা ঠিক নয় বরং তারা লিখে আর গায় বলেই মানুষ চায়।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন