বলিউড অভিনেতা নওয়াজ উদ্দিন সিদ্দিকী তার আপন ভাই এবং ভাইয়ের সাবেক স্ত্রীর বিরুদ্ধে ১০০ কোটির মানহানির মামলা দায়ের করেছিলেন।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) মুম্বাই হাই কোর্ট সেই মামলা খারিজ করে দিয়েছে। আরও জানা গেছে, অভিনেতা দায়ের করা মামলা চালাতে না পারায় আদালত মামলাটি খারিজ করে দিয়েছে।
ভাই শামসুদ্দিন সিদ্দিকী এবং ভাইয়ের প্রাক্তন স্ত্রী অঞ্জনা পাণ্ডের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপ এবং মানহানির অভিযোগ ছিল নওয়াজ উদ্দিনের।
জানা গেছে, শামসুদ্দিনকে অভিনেতা ২০০৮ সালে নিজের ব্যক্তিগত সহকারী পদে বহাল করেছিলেন। সেই অনুযায়ী অভিনেতার আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত যাবতীয় কার্ড, ব্যাংকের চেকবই, পাসবই, পাসওয়ার্ড-সহ সমস্ত কিছুই ভাইয়ের দায়িত্বে ছেড়েছিলেন। কারণ, সমস্ত আর্থিক লেনদেন এবং তার হিসাব শামসুদ্দিনই দেখতেন বলে দাবি নওয়াজ উদ্দিনের। তার অভিযোগ, এই সুযোগ তার ভাই ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে কাজে লাগিয়েছিলেন।
অভিনেতার ভাই নাকি গোপনে মুম্বাইয়ের ইয়ারি রোডে একটি ফ্ল্যাট, অভিনেতার সম্পত্তির অর্ধেক অংশ, বুলধানায় জমি, শাহপুরে একটি খামারবাড়ি, দুবাইয়ে একটি বাড়ি এবং ১৪টি বিলাসবহুল গাড়ি কিনেছিলেন। এ ছাড়াও, ২০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন! শামসুদ্দিন সেই সময় তার দাদাকে বুঝিয়েছিলেন, তিনি যা কিনছেন তার যৌথ মালিকানায় দুই ভাইয়ের নাম রয়েছে। যদিও অভিনেতা পরে জানতে পারেন, সবটাই মিথ্যা।
একই ভাবে ভাইয়ের প্রাক্তন স্ত্রী অঞ্জনার বিরুদ্ধে নওয়াজ উদ্দিনের অভিযোগ, ভাইয়ের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তার সন্তানদের দেখভাল এবং আর্থিক খরচ বহনের জন্য প্রতি মাসে ১০ লাখ টাকা দিতেন অঞ্জনাকে। সেই সঙ্গে অঞ্জনাকে আড়াই কোটি টাকা দিয়েছিলেন একটি প্রযোজনা সংস্থা খোলার জন্য। ভাইয়ের স্ত্রী সেই সমস্ত টাকা নাকি ব্যক্তিগত কারণে খরচ করতেন। এমনকি, শামসুদ্দিনের প্ররোচনায় নওয়াজ উদ্দিনকে বদনাম করার উদ্দেশ্য নিয়ে কিছু ভুয়া ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছিলেন, যা অভিনেতার সুনাম নষ্ট করেছিল। এর জেরে বেশ কিছু কাজ হাতছাড়া হয়েছিল তার।
নওয়াজ উদ্দিনের যাবতীয় অভিযোগের বিরুদ্ধে এর পরেই আদালতে পাল্টা আবেদন রাখেন শামসুদ্দিনের আইনজীবী আলি কাশিফ খান দেশমুখ, সিংধা খান্ডেলওয়াল এবং ফরিদ শেখ। তাদের দাবি ছিল, অকারণ অর্থনৈতিক চাপ তৈরির জন্যই নওয়াজ় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন তার মক্কেলের বিরুদ্ধে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।