এরপরই তিনি হঠাৎই হারিয়ে যান রূপালি পর্দা থেকে। ‘ভিরানা’র পর তার সম্পর্কে আর কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায়নি।
অনেকেই মনে করেন, দাউদ ইব্রাহিমের হুমকি ও হেনস্তার কারণেই অভিনয় ছেড়ে দেন জেসমিন। তখনকার দিনে দাউদের ছায়া বলিউডে বেশ জোরালো ছিল। তার মতো এক মাফিয়া ডনের নজরে পড়া মানেই এক ভয়ংকর বাস্তবতা। অনেকে মনে করেন, এই মানসিক চাপে বলিউড থেকে সম্পূর্ণ সরে যান অভিনেত্রী।
৩৭ বছর ধরে তিনি যেন আক্ষরিক অর্থেই ‘গায়েব’। বহু সংবাদমাধ্যমে নানা রকম দাবি উঠলেও নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারেননি, তিনি এখন কোথায়, কী করছেন। ২০১৭ সালে ‘ভিরানা’র পরিচালক শ্যাম রামসে এক সাক্ষাৎকারে জানান, জেসমিন এখনো জীবিত এবং মুম্বাইতেই থাকেন। মা মারা যাওয়ার পর তিনি অভিনয় ছেড়ে দেন বলেও জানান শ্যাম।
কিছু প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ‘ভিরানা’র কিছুদিন পরই জেসমিন বিয়ে করে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এবং সেখানেই এখন ব্যবসা পরিচালনা করছেন।
অভিনেতা হেমন্ত বীরজে, যিনি ‘ভিরানা’তে জেসমিনের সহ-অভিনেতা ছিলেন, তিনিও ২০২৪ সালে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘জেসমিন এখন যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন, ওর মুম্বাইতেও একটা বাড়ি আছে, মাঝেমধ্যে আসেন।’
তবে জেসমিন ধুন্না হয়তো দাউদ ইব্রাহিমের ছায়া থেকে রক্ষা পেতে নিজেকে আড়াল করে রেখেছেন।