ভারতের মহারাষ্ট্রের ভাসাইয়ে একটি স্কুলে দেরিতে আসায় ১৩ বছরের এক ছাত্রীকে ব্যাগসহ ১০০টি ওঠবস করান শিক্ষক মমতা যাদব। শারীরিক শাস্তির পর বাসায় গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে মেয়েটি। হাসপাতালে ভর্তি করার এক সপ্তাহ পর তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর শিক্ষককে অবহেলাজনিত হত্যার অভিযোগে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, সকালে স্কুলে ১০ মিনিট দেরি করে আসে গৌড় নামের ওই ছাত্রী। এ সময় শিক্ষক মমতা যাদব কিছু শিক্ষার্থীকে সঙ্গে নিয়ে তাকে ব্যাগ পিঠে দিয়েই ১০০টি ওঠবস করান। বাড়ি ফেরার পরই তার শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় এবং অসুস্থতা দ্রুত বাড়তে থাকে। পরিবারের সদস্যরা প্রথমে ভাসাইয়ের একটি হাসপাতালে নেন, সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মুম্বাইয়ের জেজে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতে এই ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল হয়েছে।
চিকিৎসকেরা পোস্টমর্টেম রিপোর্টে জানান, মেয়েটির ফুসফুসে গুরুতর ফোলা ছিল এবং শারীরিক চাপ তার অবস্থাকে আরও জটিল করে তোলে। জানা গেছে, শিক্ষিকা আগেই ছাত্রীর স্বাস্থ্যগত সমস্যা সম্পর্কে জানতেন।
ঘটনার পর ওয়ালিভ থানায় অভিযোগ দায়ের হলে দেরি না করেই শিক্ষক মমতা যাদবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। স্কুলটিকে কেন্দ্র করেও তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানে মৌলিক শিক্ষাব্যবস্থা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবহেলা ছিল।
মেয়েটির মৃত্যুর পর স্থানীয় অভিভাবক ও শিক্ষানুরাগীরা শারীরিক শাস্তি বন্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন।
