দলবদলের বিশ্ব রেকর্ড গড়ে ২০১৭ সালে বার্সেলোনা থেকে নেইমারকে উড়িয়ে এনেছিল পিএসজি। সে বছরই দলটিতে নাম লেখান সে সময়ের আলোচিত এক তরুণ, কিলিয়ান এমবাপ্পে। তখন সমর্থকরা ভাবেন, এবার বুঝি ইউরোপের মঞ্চে কিছু একটা করে দেখাবে প্যারিসের ক্লাবটি। কিন্তু না, তেমন বড় কিছু করতে পারেনি দলটি।
ইউরোপ সেরার মঞ্চে দলটি যেন নিজেদের বার বার হারিয়ে খুঁজেছে। এবারও তার ব্যতিক্রম কিছু ঘটেনি। মেসি-নেইমার না থাকলেও বিশ্ব মাতানো এমবাপ্পে ছিলেন দলটিতে, এরপরও সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছে পিএসজিকে।
এমবাপ্পের নামের পাশে সবমিলিয়ে সাতটি লিগ শিরোপা। আছে বিশ্বকাপ জয়ের কীর্তি। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার স্বপ্ন এখনো স্বপ্নই রয়ে গেল। কথায় আছে বড় খেলোয়াড় বড় মঞ্চে পথ খুঁজে নেয়। এমবাপ্পের ক্ষেত্রেও এমনটা ভাবা হয়েছিল। কিন্তু ফরাসি তারকা সেই পথ খুঁজে নিতে পারেননি। মূলত বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের রক্ষণভাগ এমবাপ্পের জন্য একটু জায়গাও ছাড়েনি। এমবাপ্পেও তাই সেভাবে সুযোগ পাননি। সুযোগ পেয়েছিলেন তবে দুই লেগে তার দুটি প্রচেষ্টা আটকে যায় পোস্টে। বুন্দেসলিগার পঞ্চম স্থানে থাকা দলের বিপক্ষে দুই লেগ মিলিয়ে ৪৪টি শট নিয়েও কোনো গোলই যে করতে পারেনি পিএসজি। পরিসংখ্যান বলছে, ২০০৩-০৪ মৌসুমের পর পিএসজিই প্রথম কোনো দল যারা এত শট নেওয়ার পরও গোল করতে পারেনি।
নিজের সর্বোচ্চটুকু নিঙড়ে দিয়েও গোল না পাওয়ার হতাশা আছে এমবাপ্পের। আবার ফাইনালে দলকে নিতে না পারায় দোষ নিজের ঘাড়ে নিয়েছেন এই ফরাসি তারকা, ‘আমি দলের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেনি কিন্তু এটা যথেষ্ট ছিল না। যখন প্রতিপক্ষের বক্সে কার্যকরীতার কথা উঠবে তখন আমার কথা আসবে। আমি সেই লোক যার গোল করা উচিৎ এবং ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দেওয়া উচিৎ। যখন সবকিছু ভালো থাকে তখন সব আলো আমার দিকে আসে আর খারাপ সময়ে দায়টাও নিতে হয়। এটা সমস্যা না।’