English

28 C
Dhaka
রবিবার, জুলাই ১৩, ২০২৫
- Advertisement -

সারাবিশ্বের যুদ্ধ বন্ধ হোক, শান্তি আসুক: প্রধানমন্ত্রী

- Advertisements -

সারাবিশ্বের যুদ্ধ বন্ধ হোক- এই প্রত্যাশা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘শান্তি থাকলেই প্রগতি ও উন্নতি আসে। বাঙালি শান্তিতে বিশ্বাস করে। আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই।’

তিনি বলেন, ‘সারাবিশ্বের যুদ্ধ বন্ধ হোক। বন্ধ হোক অস্ত্র প্রতিযোগিতা। অস্ত্রের টাকা দিয়ে নারী ও শিশুর বিকাশ, পরিবেশের উন্নয়নসহ বিশ্বের উন্নয়নের নানান কাজে ব্যয় হোক।’

বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস- ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘মাতৃভাষা ও সাহিত্য নিয়ে আমাদের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট এবং বাংলা একাডেমিকে একই সঙ্গে কাজ করতে হবে। একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করতে হবে। আমরা সেটাই চাই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভাষার ওপর পড়াশোনা করলে অনেক মানুষ ও জাতি সম্পর্কে জানা যায়। যেহেতু আমরা মাতৃভাষা রক্ষায় রক্ত দিয়ে পথ দেখিয়েছি, তাই সারাবিশ্বের মাতৃভাষা সংরক্ষণ ও গবেষণায়ও জোর দিতে হবে। একসময় বলা হতো অন্য ভাষা থেকে অনুবাদ করার দরকার নেই। আমি মনে করি এটা দরকার। বিভিন্ন দেশের সাহিত্য ও ইতিহাস অনুবাদ করে আমাদের ছেলে-মেয়েদের দেওয়া দরকার।’

তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল ডিভাইসে দেখি অনুবাদ করে। এই অনুবাদ করতে গিয়ে এমন উদ্ভট কিছু লেখে, ভাষার বিকৃতি হয়ে যায়। এটিতে নজর দেওয়া উচিত। অনুবাদ ডিভাইসে হয়ে যায় ঠিক, কিন্তু সেটা ঠিকমতো হলো কি না, ভুল হলে সংশোধন করে বাজারজাত করা উচিত।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘মাতৃভাষার ধ্বনি সারাবিশ্বে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। অনেকে এ নিয়ে লজ্জা পেয়ে যান, ভুল হলো কি না। আমি সেটা মনে করি না। লজ্জা পাই না। ভুল নিয়ে আমি চিন্তা করি না। আমি মনে করি, আমি আমার মতো করে আমার কথাটা বুঝাতে পারলাম কি না। ভুল হলো কি না- এই চিন্তায় আমরা অনেক সময় কথাই বলতে পারি না। এটা কিন্তু ঠিক না। আমি নিজেও শুধু বাংলাটাই ভালোভাবে পারি। আমি বাংলা সাহিত্যে পড়েছি। ইংরেজি ভালো করে পারতাম না।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘মাতৃভাষা জানার ফলে নিজের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি জানা যায়। তবে কর্মক্ষেত্রের জন্য একাধিক ভাষা শিখতে হয়। আমাদের ছেলে-মেয়েরা মেধাবী। তারা একাধিক ভাষা শিখতে পারে। আমি মনে করি, আমাদের মাতৃভাষা শিক্ষার মাধ্যম থাকবে। তবে অন্যান্য ভাষা শেখারও সুযোগ থাকতে হবে। কিছু কিছু পরিবার হঠাৎ টাকার মালিক হয়ে গেছে, তারা মনে করে ইংরেজি ভাষায় কথা বললেই স্মার্ট। অনেকে দেশি ভাষা পরিত্যাগ করার মতো অবস্থায় চলে যায়। কিন্তু শুদ্ধভাবে বাংলা বলতে অসুবিধে কী?’

তিনি বলেন, ‘আমাদের দুর্ভাগ্য আমাদের ইতিহাস বিকৃতি করা হয়। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করেছিল। কিন্তু এখন আর সেদিন নেই। এখন মানুষ সঠিক ইতিহাস জানতে পারছে। শুধু ইতিহাস নয়, ভাষারও বিকৃতি শুরু হয়েছিল। আরবি ভাষায় বাংলা লিখতে হবে, পরে আবার ল্যাটিন ভাষায় বাংলা লিখতে হবে, এমন সিদ্ধান্ত এসেছিল। আমাদের ছেলে-মেয়েরা সেটারও প্রতিবাদ করেছিল।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে বাঙালি জাতির ভাষা ও সংস্কৃতি থেকে সরিয়ে ভিন্ন ধারা পরিচালনার চেষ্টা হয়। আমরা সেটা থেকে বের করে নিয়ে আসার চেষ্টা করেছিলাম। ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি পেয়েছে। সারা পৃথিবীর মাতৃভাষা যাতে হারিয়ে না যায়, সেজন্য আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট গড়ে তুলেছি। এটি ইউনেসকো কর্তৃক ক্যাটাগরি টু-তে উন্নীত হয়েছে।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। এতে আরও বক্তব্য দেন- প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, ইউনেসকোর বাংলাদেশের দেশীয় পরিচালক কিনোট স্পিকার অধ্যাপক শিশির ভট্টাচার্য। স্বগত বক্তব্য দেন উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান।

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/ftif
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন