যেসব মার্কিন সেনা সদস্য এক বছরের বেশি সময় ধরে শেভ করেননি, তাদের আর ওই বাহিনীতে প্রয়োজন নেই এবং তাদের বিদায় করে দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ।
কয়েক দশক ধরে চালু থাকা একটি নীতি অনুসারে কমান্ডাররা এখনো সেনা সদস্যদের শেভিং থেকে অব্যাহতি দিতে পারবেন। তবে এখন থেকে সেই অব্যাহতির সঙ্গে একটি চিকিৎসা পরিকল্পনা থাকতে হবে বলে হেগসেথ ২০ আগস্টের এক স্মারকলিপিতে জানিয়েছেন, যা গত সোমবার প্রকাশিত হয়েছে। স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, যেসব সেনা সদস্য এক বছরের পরও চিকিৎসার প্রয়োজন দেখাবে তাদের পরিষেবা থেকে বিচ্ছিন্ন করা হবে।
হেগসেথ তার স্মারকলিপি লিখেছেন, ‘বীরত্বের নৈতিকতা যে পরিচ্ছন্নতার মানদণ্ডের ওপর প্রতিষ্ঠিত, বিভাগকে তা বজায় রাখতে সজাগ থাকতে হবে।’
এই ঘোষণা সব সামরিক বাহিনীর জন্য প্রযোজ্য এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাহিনীর সদস্যদের চেহারার নিয়ম শিথিল করার পর নতুন বিধি-নিষেধের অংশ।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে উডোফলিকুলাইটিস বার্বি রোগে আক্রান্ত সেনাদের শেভিং ছাড় দেওয়া হয়। এ রোগে আক্রান্ত অবস্থায় শেভ করার পর চুল ত্বকের ভেতরে ঢুকে যায় এবং জ্বালা সৃষ্টি করে।
এটি কৃষ্ণাঙ্গ পুরুষদের মধ্যে তুলনামূলকভাবে বেশি দেখা যায়।
সেনাদের জন্য কোন চিকিৎসা সামরিক বাহিনী দেবে কিংবা খরচ বহন করবে কি না তা মেমোতে বলা হয়নি। এতে বলা হয়েছে, ‘মার্কিন সামরিক বাহিনীর নির্ধারিত গ্রুমিং স্ট্যান্ডার্ড হলো পরিষ্কার শেভ করা ও পরিপাটি থাকা।’ তবে সেনা সদস্যদের গোঁফ রাখার অনুমতি থাকবে কি না তা উল্লেখ করা হয়নি।
এ ছাড়া এই পরিবর্তনে বিশেষ বাহিনীর সদস্যদের বা আলাস্কার মতো আর্কটিক অঞ্চলে অবস্থানরত সেনাদের ক্ষেত্রে—যেখানে অতিরিক্ত ঠাণ্ডায় শেভ করা স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে—প্রযোজ্য হবে কি না, সেটিও পরিষ্কার নয়।
এই সপ্তাহে সেনাবাহিনী তাদের নিজস্ব সাজসজ্জার মানদণ্ড হালনাগাদ করেছে। এটি সেনাদের গ্রহণযোগ্য চেহারার মানদণ্ডে বড় পরিবর্তন এনেছে, বিশেষ করে নারীদের জন্য নখ, চুলের ধরন, কানের দুল ও মেকআপ সংক্রান্ত নিয়মে।
জানুয়ারিতে বিমানবাহিনী একটি নতুন নীতি চালু করেছে, যা সার্ভিসে থাকা সদস্যদের নখে ব্যবহৃত নেল পলিশের ধরণ তিনটিতে সীমিত করেছে এবং এটি আগের ৬০ রঙের অনুমতিপ্রাপ্ত নিয়ম বাতিল করেছে।
