মাস্তানি করে। মাদকের নেশায় বুঁদ হয়ে থাকে।
প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর দেশজুড়ে হঠাৎ করে অপরাধ বেড়েছে। পুলিশের মূল্যায়ন হচ্ছে, এর মূলে রয়েছে কিশোর-তরুণ গ্যাং।
রাজশাহীতে কৌশল বদলে ব্যাপকভাবে সক্রিয় রয়েছে কিশোর গ্যাং। হত্যা, ছুরিকাঘাত, মাদক, ছিনতাই, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সশস্ত্র অংশগ্রহণ থেকে নারীদের যৌন হয়রানির মতো সব অপরাধই তারা করে। রংপুরে একটি গোয়েন্দা সংস্থার সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিশোর গ্যাং সক্রিয় রয়েছে। আন্ডারওয়ার্ল্ডের খুনাখুনিতে কিশোর ও তরুণদের ব্যবহার করার ঘটনাও ঘটেছে। সিলেটে কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণহীন, বেপরোয়া।
কিশোর গ্যাংগুলো তৈরি হলো কেন? কেনই বা তারা এত ভয়ংকর হয়ে উঠেছে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সমাজে নানা অসংগতি রয়েছে। নিজেদের সংস্কৃতি থেকে দূরে সরে যাচ্ছে কিশোররা। তাদের আচরণে পরিবর্তন হচ্ছে। কিশোর বয়সে হিরোইজম ভাব থাকে। আবার কিশোরদের রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করার কারণে তাদের মধ্যে এক ধরনের ‘গ্যাং কালচার’ গড়ে উঠছে। তাদের ওপর পারিবারিক ও সামাজিক নিয়ন্ত্রণ থাকে না।
গরিব ও ধনী দুই শ্রেণির পরিবারের কিশোরদের মধ্যেই এই গ্যাং কালচারের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিশোর গ্যাং সামাজিক অবক্ষয়ের ফল। আবার মাদক বিক্রেতা থেকে শুরু করে রাজনীতিবিদ পর্যন্ত অনেকেই নিজের সামান্য লাভের জন্য কিশোরদের অপরাধজগতে টেনে নেয়। অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে কিশোরদের ব্যবহার করে।
কিশোরদের রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করার কারণে তাদের মধ্যে এক ধরনের গ্যাং কালচার গড়ে উঠছে।কিশোর গ্যাং কালচার নির্মূলে মদদদাতাদেরও ছাড় দেওয়া যাবে না। এ বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি নিতে হবে। অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে কঠোর হতে হবে।
The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/ghc3