English

32.9 C
Dhaka
রবিবার, জুলাই ২০, ২০২৫
- Advertisement -

চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করুন: গোয়ালন্দ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

- Advertisements -
গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র মানুষের পক্ষে রাজধানী কিংবা অন্য কোনো বড় শহরে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়া সম্ভব হয় না। এমনকি উপজেলা সদরে থাকা প্রাইভেট ক্লিনিকে যাওয়ার সামর্থ্যও তাদের প্রায় নেই বললেই চলে। তাদের প্রধান ভরসা এখনো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অথবা কমিউনিটি হাসপাতাল। কিন্তু সেই হাসপাতালগুলোর অব্যবস্থাপনা এত প্রকট যে সেখানেও তারা যথাযথ চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
প্রকাশিত খবরে দেখা যায়, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাড়ে পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে অনুপস্থিত রয়েছেন সেখানকার জুনিয়র কনসালট্যান্ট (শিশু)। বিশেষজ্ঞসহ অন্যান্য চিকিৎসকেরও যথেষ্ট অভাব রয়েছে।
ফলে হাসপাতালটিতে শিশু রোগীদের চিকিৎসা করছেন উপসহকারী কমিউনিটি চিকিৎসা কর্মকর্তারা। বহির্বিভাগেও তাঁরাই চিকিৎসা দিচ্ছেন। অথচ দিনে চার শতাধিক রোগী এখানে চিকিৎসা নিতে আসে।
উপজেলা হাসপাতাল নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিনিয়ত খবর থাকছে। প্রধান অভিযোগ, চিকিৎসক থাকেন না। এ ছাড়া অ্যাম্বুল্যান্স না থাকা, রোগ নির্ণয় বা চিকিৎসাসংক্রান্ত যন্ত্রপাতি অকেজো থাকা, লোকবল না থাকা, রোগীদের বাইরের ক্লিনিক থেকে অত্যধিক মূল্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো—এমন অভিযোগ অনেক আছে।
হাসপাতালে চিকিৎসক-কর্মচারীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে হাজিরা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
দেখা যায়, অতি দ্রুত সেসব যন্ত্র নষ্ট হয়ে যায়। প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২০ অক্টোবর গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জুনিয়র কনসালট্যান্ট (শিশু) হিসেবে যোগ দেন ডা. আলাউদ্দিন। যোগদানের দিন থেকে মাত্র তিন দিন সেখানে উপস্থিত ছিলেন তিনি। এর পর থেকে অনুমোদন ছাড়াই টানা চার বছর ১০ মাস ২৪ দিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন ওই চিকিৎসক।
পরে গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর তিনি হঠাৎ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপস্থিত হন। এরপর মাত্র ২২ দিন সেখানে দায়িত্ব পালনের পর ৯ অক্টোবর থেকে ফের অনুমোদন ছাড়াই কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাও হয়েছে। সেখানে কর্মরত কোনো চিকিৎসা কর্মকর্তাই সহজে আউটডোরে বসেন না।
সে কারণে কয়েকজন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসারই রোগীদের ভরসা। শুধু গোয়ালন্দ নয়, সারা দেশের উপজেলা হাসপাতালগুলোর অবস্থা কমবেশি একই রকম। কোনো রকমে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। আরো করুণ দশা ইউনিয়নভিত্তিক কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর। তাহলে গ্রামাঞ্চলের অতিদরিদ্র এসব মানুষ চিকিৎসার জন্য কোথায় যাবে?
প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র মানুষের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কমিউনিটি হেলথ ক্লিনিক খুবই জরুরি।
এগুলো যাতে সঠিকভাবে কাজ করে, রোগীরা যাতে রোগ নির্ণয়সহ অন্যান্য সেবা সঠিকভাবে পায়, সরকারি ওষুধ পায়, হাসপাতালের অবকাঠামো যাতে ঠিক থাকে, সেসব দিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে আরো উদ্যোগী হতে হবে। স্বাস্থ্যসেবাকে প্রকৃত অর্থেই জনগণের দোরগোরায় নিয়ে যেতে হবে।
The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/hbl4
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন