২০০৯ সালের সেই ঘটনা এখনও ক্রিকেট বিশ্ব ভুলতে পারেনি। পাকিস্তানের লাহোরের গাঁদ্দাফি স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের উপর জঙ্গি হামলা হয়েছিল। সেই ঘটনায় অনেকে প্রাণ হারিয়েছিলেন। তবে প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা। কিন্তু শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের অনেকেই গুরুতর আহত হয়েছিলেন।
সেই ঘটনার পর পাকিস্তানকে কার্যত একঘরে করে দিয়েছিল ক্রিকেট বিশ্ব। আর কোনও ক্রিকেট খেলিয়ে দেশ পাকিস্তান সফরে যেতে রাজি হত না। পাকিস্তানের মাটিতে ১০ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের কোনও ম্যাচ হয়নি। শেষ পর্যন্ত ২০১৯ সালে শ্রীলঙ্কা আবার পাকিস্তানে যেতে রাজি হয়। সেই পাকিস্তানে আবারও ক্রিকেট ম্যাচ চলাকালীন হামলা চালাল জঙ্গিরা।
খবর অনুযায়ী, পাকিস্তানের পখতুনখাওয়া প্রদেশের ওরাকাইতে একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট চলাকালীন হামলা চালায় জঙ্গিরা। জঙ্গি হামলায় দিশেহারা হয়ে পড়েন আয়োজক থেকে শুরু করে সাধারণ দর্শকরা। এদিন ফাইনাল ম্যাচ ছিল। ফলে মাঠে হাজির ছিলেন রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে সংবাদমাধ্যমের কর্মীরাও। বিপুল সংখ্যক দর্শক হাজির ছিলেন মাঠে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, ম্যাচ শুরুর আগেই মাঠে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। তার পরই দর্শক, মিডিয়াকর্মী ও রাজনৈতিক নেতারা কোনও রকমে প্রাণে বাঁচেন। কিন্তু বেশ কিছুক্ষণ ধরে জঙ্গিরা সেখানে গুলি চালাতে থাকে।
জমিয়ত উলেমা-এ-ইসলামের নেতা হাজি কাশিম গুল টুর্নামেন্টের ফাইনালে প্রধান অতিথি হিসাবে ছিলেন। ম্যাচ শুরুর আগেই মাঠের উপর কাছের পাহাড় থেকে গুলি ছুঁড়তে শুরু করে জঙ্গিরা। এমন অতর্কিত হামলায় যে যেদিকে পারেন, ছুটে প্রাণ বাঁচান। জঙ্গিদের গুলিতে কোনও হতাহতের খবর নেই। তবে এলাকায় প্রবল আতঙ্ক ছড়িয়েছে। টুর্নামেন্ট বাতিল হয়।
ওরাকজাইয়ের পুলিশ কর্মকর্তা নিসার আহমেদ জানিয়েছেন, ওই এলাকায় জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর ছিল। ওরকজাই স্কাউটস ও ফ্রন্টিয়ারের সঙ্গে জঙ্গিদের পাকরাও করতে পুলিস অভিযান করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/hbmw
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন