English

32 C
Dhaka
শুক্রবার, মে ৩, ২০২৪
- Advertisement -

বাংলাদেশকে আরো ৩৫ লাখ ফাইজার টিকা অনুদান দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

- Advertisements -
Advertisements
Advertisements

বাংলাদেশকে আরো ৩৫ লাখ ডোজ ফাইজার কোভিড-১৯ টিকা অনুদান দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশকে মোট ১ কোটি ৫০ লাখ ডোজ টিকা উপহার দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। চলতি বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (ফুড অ্যান্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন) ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য ফাইজার-বায়োটেক কোভিড-১৯ টিকা অনুমোদন দেয়।
ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার বলেছেন, ‘বাংলাদেশকে আরো ৩৫ লাখ ডোজ টিকা অনুদান দিতে পেরে আনন্দিত যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়াও আমরা বাংলাদেশি শত শত স্বাস্থ্যকর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়েছি যাতে তারা ফাইজারের টিকাগুলো ১২ ও তদুর্ধ্ব বয়সী শিশুদের নিরাপদে দিতে পারে। আমরা আশা করি এই টিকা তরুণবয়সী বাংলাদেশিদের বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের কোভিড-১৯ থেকে সুরক্ষা পেতে সহায়তা করবে এবং তারা পরিপূর্ণভাবে তাদের লেখাপড়া ও সামাজিক কর্মকাণ্ড শুরু করতে পারবে।’
বাংলাদেশকে দেয়া ফাইজার টিকার এই অনুদান কোভিড-১৯ মোকাবিলার বৈশ্বিক প্রচেষ্টাকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে এগিয়ে নিতে বাইডেন সরকারের প্রতিশ্রুত ২০২২ সালজুড়ে বিনামূল্যে বিশ্বব্যাপী ১০০ কোটি ডোজ ফাইজার টিকা সরবরাহের অংশ। টিকা অনুদান দেয়া ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জাতীয় কোভিড-১৯ টিকাদান প্রচারাভিযান এবং মহামারি
মোকাবেলায় সরকারের গৃহীত কার্যক্রম জোরদারে বাংলাদেশ সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র সরকার ছয় হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি স্বাস্থ্য সেবাদানকারী পেশাজীবীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে যাতে করে তারা নিরাপদে ও দক্ষতার সাথে টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বাংলাদেশিদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সহায়তা করতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি, ডিফেন্স ডিপার্টমেন্ট, স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ১২১ মিলিয়ন বা ১০৫২ কোটি টাকারও বেশি কোভিড-১৯ সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তা দিয়েছে মার্কিন সরকার।
এই সহায়তা মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে এবং কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা পেতে সহায়তা করেছে, কোভিড-১৯ রোগ পরীক্ষা করার সামর্থ্য ও মনিটরিং জোরদার করেছে, রোগীদের ব্যবস্থাপনা এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ দক্ষতা বাড়িয়েছে এবং সরবরাহ ব্যবস্থা ও লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি উন্নত করেছে। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় সম্মুখসারির কর্মীদের সুরক্ষা প্রদান করেছে এবং জনসাধারণকে কোভিড-১৯ থেকে নিজেদের রক্ষা করার উপায়সহ সামগ্রিকভাবে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জ্ঞান বাড়িয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মোকাবেলা প্রচেষ্টাকে সহায়তা করার জন্য ৪ বিলিয়ন ডলার বা ৩৪,৮০০ কোটি টাকারও বেশি দান করেছে, যার মধ্যে রয়েছে কোভিড-১৯ টিকার আলট্রাকোল্ড চেইন সংরক্ষণ ব্যবস্থা, পরিবহন এবং নিরাপদ ব্যবস্থাপনায় সহায়তা করা। অনুদান দেওয়া কোভিড-১৯ টিকায় বিশ্বব্যাপী মানুষের ন্যায়সঙ্গত প্রবেশাধিকার বা প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণে একক বৃহত্তম দাতা দেশে পরিণত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন