এক বছর ধরে পুলিশি তদন্তের পর নরওয়ের রাজকুমারীর ছেলের বিরুদ্ধে আদালতে ধর্ষণ, পারিবারিক সহিংসতা, হামলা এবং অন্যান্য ৩২টি অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। সোমবার (১৮ আগস্ট) দেশটির প্রধান প্রসিকিউটর এ তথ্য জানিয়েছেন।
ক্রাউন প্রিন্সেস মেটে-মারিটের ছেলে এবং ক্রাউন প্রিন্স হাকনের সৎপুত্র ২৮ বছর বয়সী মারিয়াস বোর্গ হোইবি আগামী বছরের শুরুতে বিচারের মুখোমুখি হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রসিকিউটর জানিয়েছেন, গুরুতর অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে তার ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
নরওয়ের রাজপ্রাসাদ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এই মামলার শুনানি এবং সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর দায়িত্ব আদালতের।’
ফ্রান্স টোয়েন্টিফোরের প্রতিবেদন অনুসারে, আদালতে আজ তার বিরুদ্ধে আনা ৩২টি ফৌজদারি অপরাধের মধ্যে ধর্ষণেই চারটি অভিযোগ রয়েছে।
ধর্ষণের অভিযোগগুলো ছাড়াও প্রাক্তন সঙ্গীর বিরুদ্ধে পারিবারিক নির্যাতন, অন্য একজন প্রাক্তন সঙ্গীর বিরুদ্ধে সহিংসতা, শান্তি বিঘ্নিত করা, ভাঙচুর ও আইন লঙ্ঘনের বেশ কয়েকটি অভিযোগ।
পাবলিক প্রসিকিউটর স্টার্লা হেনরিকসবো সাংবাদিকদের বলেন, তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকজন নারীর অজান্তে বা সম্মতি ছাড়াই তাদের অশালীন ছবি তোলার অভিযোগও আনা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এগুলো অত্যন্ত গুরুতর কাজ, যা দীর্ঘস্থায়ী ক্ষত রেখে যেতে পারে এবং জীবন ধ্বংস করতে পারে।’
হোইবির বিরুদ্ধে যে চারটি ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে, তা ২০১৮, ২০২৩ এবং ২০২৪ সালে সংঘটিত হয়েছিল। ২০২৪ সালের আগস্টে যে ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, সেই ঘটনায় হামলা ও ভাঙচুরের কথা ইতোমধ্যেই তিনি স্বীকার করেছেন।
তার আইনজীবী এলেন হোলাগার অ্যান্ডেনেস আগে বলেছিলেন, হোইবি নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো অস্বীকার করেছেন। সোমবার মন্তব্যের জন্য রয়টার্সের অনুরোধের পর অ্যান্ডেনেস তাৎক্ষণিকভাবে কোনো সাড়া দেননি।
হোইবি চার বছর বয়সে আলোচনায় আসেন, যখন তার মা নরওয়ের যুবরাজকে বিয়ে করেন। এরপর তার আরও দুটি সন্তান হয়। রাজকীয় দম্পতি তাকে তার সৎ ভাইবোন রাজকুমারী ইনগ্রিড আলেকজান্দ্রা এবং প্রিন্স সোভের ম্যাগনাসের সঙ্গেই লালন-পালন করেছেন। তবে তিনি কোনো সরকারি ভূমিকায় নেই বলে জানা গেছে।