গাজায় এখন একটি রুটি যেন হাতে পাওয়া চাঁদ। মৃত্যু যেখানে প্রতিদিন, প্রতিক্ষণ হামাগুড়ি দেয়, ক্ষুধা যেখানে প্রতি মুহূর্তে হাতছানি দেয় মৃত্যুকে, অগুনতি অভুক্ত মুখ সেখানে বিদ্রুপ করে মানবতাকে।
গাজা ধুঁকে ধুঁকে মরছে। তিলে তিলে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে। অনাহারক্লিষ্ট শিশুর কঙ্কালসার দেহ যেন ক্ষুধার রাজ্যে বিপন্ন মানবতার মূর্ত প্রতীক। গাজাকে বাঁচাতে চাই ত্রাণ। চাই খাদ্য। বিশ্ববাসীর কাছে আবারও এই আহ্বান জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি ফুটবলার ও রেফারি মাহা মোহামাদ শাবাত।
ইসরাইলের নৃশংসতম গণহত্যায় ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাওয়া গাজায় মৃত্যুর মিছিল যেন থামতেই চাইছে না। অনিঃশেষ রক্তপাত ও অশ্রুপাতে গাজা এখন মৃত্যু-উপত্যকা। মাহা সেখানে তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করছেন।
ইসরাইলের বর্বরোচিত আক্রমণে অসংখ্য গাজাবাসীর প্রাণপাত হচ্ছে প্রতিদিন। মাহার শিক্ষার্থী, সতীর্থ ফুটবলার এবং বন্ধুবান্ধবেরও প্রাণ যাচ্ছে অহরহ। মৃত্যুর উপত্যকায় জীবনের জন্য প্রার্থনা করছেন মাহা।
‘গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্ট ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। গাজাবাসীর আত্মদান ও কান্না আমরা কোনোদিন উপেক্ষা করতে পারব না,’ বলেছেন মাহা।
এদিকে চরম খাদ্যাভাবে দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি পাওয়া যাচ্ছে গাজায়। খাবারের পানির তীব্র অভাবে রোগ-ব্যাধির প্রাদুর্ভাব গাজাবাসীর মৃত্যুজর্জর দুঃসময় প্রলম্বিত করতে পারে।