English

30 C
Dhaka
সোমবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৪
- Advertisement -

মিয়ানমার কী সত্যি ভেঙে যাবে

- Advertisements -

মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকারের প্রেসিডেন্ট সম্প্রতি সতর্ক করে বলেছেন, দেশটির শান রাজ্যে শুরু হওয়া যুদ্ধ সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে পুরো দেশই ভেঙে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হবে। ২০২১ সালে সেনা অভ্যুত্থানের পর নিয়োগ পাওয়া সাবেক জেনারেল মিন্ত সোয়ে ক্ষমতাসীন সামরিক কাউন্সিলের এক জরুরি বৈঠকে বিদ্রোহীদের কয়েকটি সমন্বিত হামলার তথ্য তুলে ধরেন। ওই হামলায় সামরিক বাহিনী বড় ধরণের ক্ষতির মুখে পড়েছে বলে জানান তিনি। খবর বিবিসির।

বিবিসি বলছে, শান রাজ্যের তিনটি জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠী, যাদেরকে আরো অন্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো সমর্থন দিয়েছে, তারা সরকারের বিরোধিতা করে আসছে। সম্প্রতি বিদ্রোহীরা জান্তা সরকারের বেশ কয়েকটি সামরিক চৌকি, সীমান্ত পারাপার এবং রাস্তা দখল করে নিয়েছে। এই সীমান্ত পারাপার এবং রাস্তা ব্যবহার করে চীনের সঙ্গে স্থল বাণিজ্যের বেশিরভাগ পরিচালিত হতো।

বিদ্রোহীদের তৎপরতার জবাবে জান্তা সরকার শত শত বিমান হামলা করেছে এবং কামান থেকে গোলা ছুড়েছে। যার কারণে হাজার হাজার মানুষ তাদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। তবে এর পরও যে ভূখণ্ডের দখল তারা হারিয়েছে তা আবার নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেনি।

উত্তরাঞ্চলীয় শান রাজ্যে এই লড়াইয়ে যে শত শত সেনা নিহত হয়েছে তাদের মধ্যে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অং কিয়াও লিউইন ও রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে নিহত হওয়া তিনিই সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা।

এই হামলার আরও তাৎপর্যপূর্ণ দিকটি হলো, প্রথমবারের মতো শান রাজ্যে পরিচালিত সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো নিজেদেরকে এবং তাদের সামরিক অভিযানগুলোকে সরকারের বিরুদ্ধে দারুণভাবে ঐক্যবদ্ধ করতে পেরেছে। যাদের প্রধান লক্ষ্য হলো জান্তা সরকারকে হটিয়ে একটি গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা চালু করা।

এখানে আরও বিভিন্ন বিষয় কাজ করছে। এই তিনটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরেই তাদের দখলে থাকা ভূখণ্ডের সীমা বাড়াতে চেয়েছিল। চীন-মিয়ানমার সীমান্তে তৎপরতা চালানো এসব বিদ্রোহী গোষ্ঠির উপর চীনের প্রভাব রয়েছে। কিন্তু বিদ্রোহীরা যেভাবে তাদের তৎপরতা বাড়িয়েছে, তাতে চীন কোনো বাধা দেয়নি।

এর কারণ হয়তো শান রাজ্য যেভাবে অনলাইন স্ক্যামিং সেন্টারের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে এবং সেই বিষয়ে জান্তা সরকারের নিষ্ক্রিয় ভূমিকার জন্য চীন মিয়ানমারের উপর হতাশ। এসব স্ক্যামিং সেন্টারগুলোতে হাজার হাজার চীনের নাগরিকসহ আরও বিদেশি নাগরিকদের জোর করে কাজ করতে বাধ্য করা হয়। বিদ্রোহীরা বলছে, তাদের অন্যতম একটি লক্ষ্য হচ্ছে এসব সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া।

২০২১ সালে যখন সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকে সামরিক বাহিনী এবং পুলিশ সহিংসভাবে দমন করেছিলে, তখন বিরোধীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে, জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী সশস্ত্র বিদ্রোহের ডাক দেওয়া ছাড়া আসলে তাদের সামনে আর কোনো উপায় নেই।

তখন অনেকেই পালিয়ে থাইল্যান্ড, চীন ও ভারত সীমান্তে জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় চলে গেছে। তাদের আশা ছিল সেখানে তারা প্রশিক্ষণ এবং অস্ত্র পাবেন, যা তাদের কাছে সে সময় ছিল না।

বেশ কিছু প্রভাবশালী জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী যেমন- কারেন, কাচিন, কারেন্নি এবং শিন- তারা এই ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট-এনইউজি এর সঙ্গে মৈত্রী স্থাপনে সম্মত হয়। এনইউজি গঠন করেছিল মিয়ানমারের নির্বাচিত প্রশাসন যাদেরকে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল। তবে অনেকেই জান্তা সরকারের মিত্র হতে চায়নি। বিশেষ করে থাইল্যান্ড ও চীন সীমান্তের বিশালাকার শান রাজ্যের বিভিন্ন গোষ্ঠী।

Advertisements

নিষিদ্ধ মাদক দ্রব্যের বিশ্বের সবচেয়ে বড় উৎপাদক হিসেবে পরিচিত শান রাজ্য সম্প্রতি ক্যাসিনো এবং স্ক্যাম সেন্টারের ব্যবসারও কেন্দ্র বিন্দু হয়ে উঠেছে। ১৯৪৮ সালে মিয়ানমারের স্বাধীনতার পর থেকে সংঘাত আর দারিদ্রে নিষ্পেষিত এই রাজ্যটি যুদ্ধবাজ নেতা, মাদক ব্যবসায়ী বা জাতিগত বিদ্রোহীদের মধ্যে নানা সময় নানা ভাগে বিভক্ত হয়ে আসছে। এসব পক্ষ কখনো পরস্পরের বিরুদ্ধে আবার কখনো সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে।

পরস্পর বিরোধী বড় দুটি জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠী শান এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে বলে প্রচলিত থাকলেও সম্প্রতি কয়েক বছরে চারটি ছোট জাতিগত গোষ্ঠী শক্তিশালী সামরিক বাহিনী গড়ে তুলেছে। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী হচ্ছে ওয়া। চীন সমর্থিত এই গোষ্ঠীটির কাছে প্রায় ২০ হাজার সেনা এবং আধুনিক জটিল অস্ত্র-শস্ত্র রয়েছে।

এর পরেই আছে কোকাং, জাতিগতভাবে এরা চীনা গোষ্ঠী যাদের দীর্ঘ বিদ্রোহের ইতিহাস আছে। এরপর রয়েছে পালাউং বা টা’য়াং। এরা পাহাড়ের উপরে অবস্থিত দুর্গম গ্রামে বাস করে। ২০০৯ সালে আত্মপ্রকাশের পর থেকে এই গোষ্ঠীটির সেনা ব্যাপকভাবে বেড়েছে।

আরও আছে রাখাইন। এরা আসলে মিয়ানমারের অপর পার্শ্বে অবস্থিত রাখাইন রাজ্য থেকে এসেছে। কিন্তু দেশটির পূর্বাঞ্চলে তাদের বড় সংখ্যক অভিবাসী জনসংখ্যা রয়েছে যারা আরাকান আর্মি প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেছে। বর্তমানে মিয়ানমারের সবচেয়ে শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী রয়েছে এদের।

১৯৮৯ সালে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে একটি অস্ত্র বিরতিতে সম্মত হয়েছিল ওয়া গোষ্ঠী। যার কারণে তারা সশস্ত্র সংঘাত থেকে বিরত থেকেছে। তারা বলছে, জান্তা এবং বিরোধীদের সংঘাতে তারা নিরপেক্ষ অবস্থানে রয়েছে। কিন্তু সারা দেশে থাকা সামরিক বাহিনী বিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো এদের কাছ থেকেই অস্ত্রের সরবরাহ পায় বলে মনে করা হয়।

অন্য তিনটি জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী হচ্ছে- কোকাং এমএনডিএএ, টা’য়াং টিএনএলএ এবং আরাকান আর্মি- এরা মিলে একটি যৌথ বাহিনী গঠন করেছে যার নাম দেওয়া হয়েছে ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স।

সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে তারা বিচ্ছিন্নভাবে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে। তবে সব সময়ই তারা নিজেদের ভূখণ্ড প্রসারিত করতেই এই সংঘাত করেছে, এনইউজি এর সমর্থনে নয়। এই তিনটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীই মিয়ানমারের অন্যান্য অঞ্চল থেকে আসা ভিন্ন মতাবলম্বীদের সফলভাবেই আশ্রয়, সামরিক প্রশিক্ষণ এবং অস্ত্র দিয়েছে।

কিন্তু চীনের সীমান্তের কাছে অবস্থান হওয়ার কারণে তাদেরকে চীনের উদ্বেগ নিয়েও মাথা ঘামাতে হতো যাতে করে সীমান্ত স্থিতিশীল থাকে এবং বাণিজ্য চলমান থাকে। চীন জান্তা সরকারকে কূটনৈতিক সহায়তা দিয়ে আসছে এবং এনইউজি থেকে নিজেদের দূরে রেখেছে।

চলতি বছরের জুনে চীনের চাপের মুখে ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স সামরিক বাহিনীর সাথে শান্তি আলোচনা বসতে রাজি হয়। যদিও খুব দ্রুতই সেগুলো ভেস্তে যায়। কিন্তু তারা এখনো বৃহত্তর গৃহযুদ্ধ থেকে নিজেদেরকে সরিয়ে রেখেছে বলেই মনে হচ্ছে।

তথাকথিত অপারেশন ১০২৭- যা অক্টোবরের ২৭ তারিখে শুরু করা হয়েছিল বলে এমন নামকরণ করা হয়েছে, সেটি এই প্রেক্ষাপট পাল্টে দিয়েছে। তারা নাটকীয়ভাবে অগ্রসর হয়েছে। পুরো সামরিক ইউনিট কোন রকম যুদ্ধ ছাড়াই তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে।

অ্যালায়েন্স বলছে, তারা অন্তত ১০০ সামরিক চৌকি, চারটি শহর দখলে নিয়েছে। এদের মধ্যে চিনশয়েহায় এবং হসেনওয়ি শহরে সীমান্ত পারাপার রয়েছে যার রাস্তা মিউস পর্যন্ত চলে গেছে। এটি মিয়ানমার থেকে চীনে প্রবেশের মূল পথ।

তারা লাউকাইং শহর ঘিরে রেখেছে এবং সেনারা যাতে আবারো ফিরে আসতে না পারে তার জন্য সব সেতু ধ্বংস করেছে। লাউকাইং শহরটিতে জান্তা সরকারের মিত্র পরিবারগুলোর পরিচালিত অনেক স্ক্যাম সেন্টার রয়েছে।

লাউকাইং শহরে হাজার হাজার বিদেশি নাগরিক আটকে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শহরটিতে বিশৃঙ্খলা বাড়ছে। শহরটিতে ফুরিয়ে আসা সীমিত খাদ্য সরবরাহ পেতে লাইন ধরতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। সেখানে থাকা নিজেদের নাগরিকদের কাছাকাছি সীমান্ত পারাপার ব্যবহার করে ওই শহর থেকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে চীন।

ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স জানিয়েছে, তাদের এখন মূল লক্ষ্য হচ্ছে, এনইউজি এর মতো সামরিক সরকারকে উৎখাত করা।

Advertisements

এনইউজি এর স্বেচ্ছাসেবক যোদ্ধারা মিয়ানমারের শক্তিশালী সামরিক বাহিনী এবং বিমান বাহিনীর সাথে অসম লড়াই করে আসছে। তারা অ্যালায়েন্সের এই সফলতার প্রশংসা করেছে এবং বলেছে যে, এটি তাদের সংগ্রামের নতুন মোড় তৈরি করেছে।

এনইউজি-পন্থী পিপলস ডিফেন্স ফোর্স নামের একটি বাহিনী যারা শান বিদ্রোহীদের মতো এতো বেশি অভিজ্ঞ নয় এবং যাদের কাছে খুব ভাল অস্ত্রও নেই, তারা সামরিক বাহিনীর দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে শান রাজ্যের কাছে নিজেদের মতো করে হামলা চালিয়েছে। এতে প্রথমবারের মতো সরকারি বাহিনীর কাছ থেকে একটি জেলার মূল শহর দখল করে নিয়েছে তারা।

ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স তাদের হামলার সময় খুব সূক্ষ্মভাবে নির্ধারণ করেছে। লাউকাইং শহরে একটি ঘটনায় জান্তা সরকারের উপর থেকে চীন ধৈর্য হারা হওয়ার পর পরই তারা এই হামলা চালিয়েছে।

গত বছর চীন সরকার স্ক্যাম সেন্টারগুলো বন্ধ করতে সামরিক সরকারের উপর চাপ দেয়। এই সেন্টারগুলো মূলত চীনের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এসব সেন্টারে আটক পাচার হওয়া ভুক্তভোগীদের উপর নিষ্ঠুর আচরণের চিত্র সম্প্রতি ব্যাপকভাবে প্রকাশিত হওয়ার পর বিব্রতকর অবস্থার মুখে পড়ে বেইজিং।

চীনের চাপের কারণে ওয়াসহ কয়েকটি শান গোষ্ঠী স্ক্যামে জড়িত থাকায় সন্দেহভাজনদের চীনা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। গত আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত চার হাজারের বেশি মানুষকে সীমান্তের ওপারে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু লাউকাইং শহরে থাকা পরিবারগুলো এই ব্যবসা বন্ধ করতে চায় না। কারণ এগুলো থেকে বছরে কয়েক বিলিয়ন ডলার আয় করে থাকে তারা।

ওই এলাকায় থাকা বিভিন্ন সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে, পরে গত ২০শে অক্টোবর লাউকাইং শহরে আটকে পড়া হাজার হাজার মানুষকে উদ্ধারের চেষ্টা করা হয়, যা আসলে ব্যর্থ হয়। স্ক্যাম সেন্টারের হয়ে কাজ করা প্রহরীরা পালানোর চেষ্টা করা অনেক মানুষকে হত্যা করেছে বলে ধারণা করা হয়। এ ঘটনার পর পার্শ্ববর্তী চীনা প্রদেশের পৌর সরকার কঠোর ভাষায় এক প্রতিবাদ জানিয়ে চিঠি পাঠায়। যেখানে এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।

ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স সুযোগ বুঝে হামলা চালায়। চীনকে শান্ত রাখতে তারা এসব স্ক্যাম সেন্টার বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দেয়। চীন প্রকাশে একটি অস্ত্রবিরতির আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু অ্যালায়েন্সের মুখপাত্র বলেছে, যুদ্ধ বন্ধ করার বিষয়ে তারা চীন সরকারের সরাসরি কোন অনুরোধ পায়নি।

কিন্তু তাদের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য হচ্ছে, সামরিক সরকারের পতন নিশ্চিত করতে যত বেশি সম্ভব ভূখণ্ড দখলে নেয়া। এনইউজি এর ওয়াদা মোতাবেক জান্তা সরকারকে উৎখাতের পর মিয়ানমারের নতুন ফেডারেল কাঠামোর আওতায় সমঝোতার দর কষাকষিতে এটিই তাদের একটি শক্ত অবস্থান তৈরি করতে সাহায্য করবে।

টিএনএলএ দীর্ঘদিন ধরেই তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা টা’য়াং স্ব-শাসিত অঞ্চলের প্রসার বাড়াতে চাইছিল। সংবিধান অনুযায়ী এই অঞ্চলটি তাদের নিয়ন্ত্রণে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। এমএনডিএএ লাউকাইং শহর এবং পার্শ্ববর্তী সীমান্ত এলাকার নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে চায়। ২০০৯ সালে মিয়ানমারের সেনাপ্রধান অং মিং লাইংয়ের নেতৃত্বে পরিচালিত একটি সামরিক অভিযানে ওই এলাকার দখল হারিয়েছিল তারা।আর সবাই তাকিয়ে আছে আরাকান আর্মির দিকে। এতদিন পর্যন্ত তারা শান রাজ্যের সংঘাতের পক্ষে সমর্থন দিয়ে এসেছে। তারা যদি রাখাইন রাজ্যে সামরিক বাহিনীর উপর হামলা চালাতে চায়, যেখানে তাদের বাহিনীর সবচেয়ে সদস্য রয়েছে এবং যারার এরইমধ্যে বিভিন্ন শহর ও গ্রামের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে তাহলে জান্তারা সেখানে বেশ বিপজ্জনক অবস্থার মধ্যেই পড়বে।

টিএনএলএ এর মুখপাত্র বিবিসিকে বলেছে, তার গোষ্ঠী এখন আর সামরিক সরকারের সাথে কোন সমঝোতায় যেতে চায় না কারণ ওই সরকার বৈধ নয়। তাদের করা যেকোন চুক্তি ভবিষ্যতে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় এসে বাতিল করে দেবে। টা’য়াং, কোকাং এবং ওয়া গোষ্ঠীগুলো নতুন ফেডারেল ব্যবস্থায় তাদের নিজেদের জনগণের জন্য রাষ্ট্রীয় সাংবিধানিক স্বীকৃতি চায়।

এই যুদ্ধের মাধ্যমে এই গোষ্ঠীগুলো হয়তো মিয়ানমারে সামরিক শাসনের অবসানে সহায়তা করবে। কিন্তু তাদের প্রত্যাশা শান রাজ্যের অন্য গোষ্ঠীদের স্বার্থের সাথে সংশ্লিষ্ট। কাজেই যারা মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ গড়ার চেষ্টা করছেন তাদের জন্য এটি অন্য অনেক ইস্যুর মধ্যে একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে থাকবে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আল কোরআন ও আল হাদিস

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন