ভারতের বিরোধী দল ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস (আইএনসি) ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত রিউভেন আজারের মন্তব্যকে অসহনীয় ও অগ্রহণযোগ্য বলে নিন্দা জানিয়েছে।
কংগ্রেস নেত্রী ও সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্র মঙ্গলবার এক্স (পূর্বে টুইটার) পোস্টে গাজায় ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে ভারতের লজ্জাজনক নীরবতার সমালোচনা করেন। তার পোস্টের জবাবে রাষ্ট্রদূত আজার এক্স-এ লেখেন, প্রিয়াঙ্কার বক্তব্য সত্য নয় বরং প্রতারণামূলক। তিনি দাবি করেন, গাজার বেসামরিক হতাহতের জন্য দায়ী হামাস এবং সংস্থাটি গাজায় প্রবেশ করা খাদ্য লুট করছে।
আজারের এই প্রতিক্রিয়াকে কেন্দ্র করে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায়। দলের প্রচার ও গণমাধ্যম বিভাগের চেয়ারম্যান পবন খেরা বলেন, একজন কূটনীতিকের পক্ষে ভারতের একজন সাংসদকে প্রকাশ্যে আক্রমণ করা অভূতপূর্ব ও অগ্রহণযোগ্য।
দলের সাধারণ সম্পাদক জয়ারাম রমেশ অভিযোগ করেন, ইসরায়েলের গাজা ধ্বংসের বিষয়ে গত দেড়-দুই বছর ধরে ভারত সরকার চরম নৈতিক কাপুরুষতা দেখিয়েছে এবং রাষ্ট্রদূতের মন্তব্যের বিরোধিতা করাও তাদের কাছে অতিরিক্ত প্রত্যাশা।
লোকসভার কংগ্রেসের উপনেতা গৌরব গগৈ বলেন, ভারতই প্রথম দেশগুলোর মধ্যে ছিল যারা ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়—যা অনেক পশ্চিমা দেশ এখনো দিচ্ছে। তিনি বলেন, ভারতের অহিংস নীতির ঐতিহ্য নিয়ে ইসরায়েলের কাছ থেকে শেখার দরকার নেই।
সাংসদ সাকেত গোকলে অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারই বিরোধী সাংসদকে আক্রমণ করতে রাষ্ট্রদূতকে ব্যবহার করেছে। তিনি বলেন, কোনো শাস্তির ভয় না থাকাতেই ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত এমন সাহস দেখাতে পেরেছেন।
সাংসদ আগা সৈয়দ রুহুল্লাহ মেহদি মন্তব্য করেন, গণহত্যাকারী শাসনের রাষ্ট্রদূত একজন নির্বাচিত সাংসদকে হুমকিসূচক ভাষায় সম্বোধন করেছেন, যা গুরুতর কূটনৈতিক পদক্ষেপের যোগ্য। কিন্তু, তার দাবি, ভারত সরকার যেহেতু ইহুতি শাসনকেই আদর্শ মনে করে, তাই তারা এ ঘটনায় বরং সন্তুষ্ট।