English

31 C
Dhaka
মঙ্গলবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৪
- Advertisement -

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন: ভোট নিয়ে চলছে নানা হিসাব নিকাশ, জরিপে এগিয়ে জো বাইডেন

- Advertisements -
Advertisements
Advertisements

আগামী ৩ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এবার এতে মুখোমুখি বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিপাবলিকান ডনাল্ড ট্রাম্প ও সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেমোক্রেট জো বাইডেন। এরই মধ্যে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হয়েছে। ভোট নিয়ে চলছে নানা হিসাব নিকাশও।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটের হিসাব অন্য যেকোনও দেশের তুলনায় জটিল। সাধারণত নির্বাচন এলেই শুরু হয় নানা জরিপ। কার চেয়ে কে এগিয়ে আছেন তা নিয়ে চলে চুলচেরা বিশ্লেষণ। এবারও তেমনটা শুরু হয়েছে। প্রশ্ন করা হচ্ছে কে এগিয়ে- ট্রাম্প নাকি বাইডেন?
এ দু’জনের মধ্যে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি আগে তেমন কোনও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন না। তবে গত নির্বাচনে চমক দেখিয়ে হোয়াইট হাউজের টিকেট কেটে ফেলেন। তাকে এবার চ্যালেঞ্জ করছেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময়কার ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি দীর্ঘদিন রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। ১৯৭০ এর দশক থেকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে রাজনীতি করছেন।
২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জনমত জরিপে এগিয়ে ছিলেন ডেমোক্রেট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। তিনি নির্বাচনে ট্রাম্পের চেয়ে প্রায় ৩০ লাখ ভোট বেশি পেয়েছিলেন। কিন্তু জটিল রাজনীতির হিসাবে তিনি তাতেও পরাজিত হন। ভোট বেশি পেলেও ইলেকটোরাল কলেজ ব্যবস্থায় তিনি পিছিয়ে পড়েন। ফলে বেশির ভাগ ভোট পেলেও একজন প্রার্থী নির্বাচিত হতে পারেন না। তাকে পেতে হয় বেশি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট। তবে এবারও বছরের শুরু থেকে জাতীয় জনমত জরিপে ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে আছেন জো বাইডেন। বিবিসি বলছে, এসব জরিপে শতকরা ৫১ ভাগ মানুষ সমর্থন করছেন জো বাইডেনকে। অন্যদিকে শতকরা ৪৩ ভাগ সমর্থন করছেন ট্রাম্পকে।
এবারের নির্বাচনে কোন কোন রাজ্য গুরুত্বপূর্ণ
২০১৬ সালের নির্বাচন ডেমোক্রেটদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে যে, বেশি ভোট পাওয়া মানেই বিজয়ী হওয়া নয়। সব রাজ্যই প্রায় একই রকমভাবে ভোট দেয়। তবে কয়েকটি রাজ্য আছে, যা প্রার্থীর চূড়ান্ত বিজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এগুলোকেই বলা হয়, নির্বাচন জয়ের রাজ্য। আরও সহজভাবে বললে বলা যায়, এগুলো হল মূল ব্যাটলগ্রাউন্ড। সেখানে নির্বাচনী যুদ্ধে যিনি জিতে আসেন, তিনিই হন প্রেসিডেন্ট।
যুক্তরাষ্ট্রে ইলেকটোরাল কলেজ ভোট সিস্টেমে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা হয়। প্রতিটি রাজ্য কংগ্রেসে কি পরিমাণ প্রতিনিধি পাঠিয়েছে তার ওপর এই ইলেকটোরাল কলেজ ভোট নির্ধারণ করা হয়। এমন মোট ৫৩৮টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট আছে। সেই ভোটগুলোর মধ্যে যে প্রার্থী ২৭০টি ভোট পাবেন তিনিই হবেন প্রেসিডেন্ট। তাই এই ভোটের জন্য এখন মরিয়া দুই শিবিরই। এসব ব্যাটলগ্রাউন্ডের মধ্যে রয়েছে টেক্সাস, নিউ হ্যাম্পশায়ার, ফ্লোরিডা, ওহাইও, মিয়ামি, অ্যারিজোনা, নেভাদা, ভার্জিনিয়াসহ বিভিন্ন রাজ্য।
ব্যাটলগ্রাউন্ডে কে এগিয়ে আছেন
এই মুহূর্তে ব্যাটলগ্রাউন্ড রাজ্যগুলোতে ভাল অবস্থানে আছেন জো বাইডেন। তবু অনেক পথ, কন্টকিত পথ এখনও বাকি। এমন অবস্থা দ্রুত পাল্টে যেতে পারে। বিশেষ করে, যখন ট্রাম্প এসব রাজ্যে জোরালো প্রচারণা চালাবেন। জরিপ বলছে, মিশিগান, পেনসিলভ্যানিয়া ও উইসকনসিনে শিল্প প্রধান তিনটি রাজ্যে এগিয়ে আছেন। ২০১৬ সালে এখানে শতকরা ১ ভাগ ভোটের ব্যবধানে হিলারির চেয়ে ট্রাম্প বেশি ভোট পেয়েছিলেন।
অ্যারিজোনায় বাইডেনকে সমর্থন করছেন শতকরা ৪৯ ভাগ মার্কিনি। ট্রাম্পকে সমর্থন করছেন ৪৩.৩ ভাগ ভোটার। ২০১৬ সালে এখানে শতকরা ৩.৬ ভাগ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন ট্রাম্প। ফ্লোরিডায় বাইডেনকে সমর্থন করছেন শতকরা ৪৮.২ ভাগ ভোটার। ট্রাম্পকে ৪৭ ভাগ। এখানে ২০১৬ সালে ট্রাম্প শতকরা ১.২ ভাগ ভোট বেশি পেয়েছিলেন।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন