English

26 C
Dhaka
শুক্রবার, মে ৩, ২০২৪
- Advertisement -

সাদ্দাম হোসেনের প্রমোদতরী নিয়ে মানুষের কৌতূহল, যাচ্ছেন দেখতে

- Advertisements -
Advertisements

এক সময় তিনি ছিলেন ইরাকের সর্বাধিনায়ক। মার্কিন হামলার পর এই নেতা চলে যান গোপন আস্তানায়। পরে তার ফাঁসি হয়। সেই সাদ্দাম হোসেনের একটি প্রমোদতরী এখনো পড়ে রয়েছে দক্ষিণ ইরাকের শাত‌-আল-আরব নদীতে।

Advertisements

এখন এই প্রমোদতরীটির ওপরে উঠে পিকনিক করেন কেউ কেউ। বিদেশি পর্যটকেরা কৌতূহলবশে নৌকায় চড়ে প্রমোদতরীটির পাশে এক চক্কর ঘুরে আসেন। কেউ কেউ এর ওপর উঠে চা পান করেন। যদিও এটির অর্ধেকের বেশি পানিতে ডুবে রয়েছে।

১২১ মিটার দীর্ঘ ‘আল-মনসুর’ নামের এই প্রমোদতরীটি ১৯৮০ সালে তৈরি। এর মধ্যে প্রায় ২০০ জন অতিথি থাকার বন্দোবস্ত ছিল। ছিল হেলিপ্যাডও। তবে সাদ্দাম এই প্রমোদতরীটি শখ করে কিনলেও কোনো দিনই তাতে চড়তে পারেননি।

২০০৩ সালে মার্কিন সেনা ইরাকে পৌঁছানোর পরে বাসরা শহরের নিরাপদ স্থানে সেটি রাখা হয়। তবে তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় শাত‌-আল-আরব নদীর অগভীর জলেই সেটি আটকে পড়ে। ২০০৩ সাল থেকে এভাবেই ছিল এটি। তবে ইদানীং সাদ্দামের এই প্রমোদতরীটি আবারও কৌতূহলের কেন্দ্রে এসেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, অবৈধ উপায়ে অর্জিত টাকা দিয়েই প্রমোদতরীটি কিনেছিল সাদ্দামের পরিবার। ওটায় চড়েই দেশ থেকে পালানোর পরিকল্পনা করছেন ইরাকের সাবেক একনায়ক। এমনটাই দাবি করেছিল তৎকালীন জর্জ বুশ প্রশাসন।

ইরাকে পালাবদলের পর এই প্রমোদতরীর একাধিক জিনিস খোয়া গেছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা। ইরাকের নৌবাহিনীর এক সদস্য জানিয়েছেন, এখনো ওই প্রমোদতরীটি দর্শকদের নজর কাড়ে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন