English

24 C
Dhaka
শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪
- Advertisement -

এমএসএফের জুলাই মাসের প্রতিবেদন: বেড়েছে ধর্ষণ ও নারী-শিশুর ওপর সহিংসতা

- Advertisements -

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর ও এমএসএফের তথ্য অনুযায়ী গত জুলাই মাসে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ও পরিস্থিতি পর্যালোচনায় দেখা যায়, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে। ধর্ষণসহ নারী ও শিশুদের ওপর সহিংসতার ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাংবাদিকসহ, সাধারণ নাগরিকদের বস্তুনিষ্ঠ ও স্বাধীন চিন্তা, অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরি এবং মতামত প্রকাশের সংবিধানপ্রদত্ত অধিকার প্রয়োগের পথ রুদ্ধ করার মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে।

জুলাই মাসে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন চার জন বাংলাদেশি ও দুই জন রোহিঙ্গা। বন্দুকযুদ্ধের পাঁচটি ঘটনার চারটি ঘটে কক্সবাজারে ও অপরটি ময়মনসিংহে। কারা হেফাজতে এক জন শিশুর রহস্যজনক মৃত্যুসহ চার জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে এক জন বন্দি নির্যাতিত হয়েছে।

জুলাইতে সীমান্ত এলাকাগুলোতে বিএসএফের গুলিতে দুই জন বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হয়েছেন। তিনটি অস্বাভাবিক মৃত্যুজনিত লাশ উদ্ধার হয়। একটি লাশ ফেরত না দেওয়া, বল প্রয়োগ ও বিএসএফ সদস্য কর্তৃক ধর্ষণের ঘটনাও প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে। উচ্চ পর্যায় থেকে বারবার প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী কর্তৃক বাংলাদেশি নাগরিক হত্যা বন্ধ করা হয়নি।

করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যেও দেশে নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা যেমন—ধর্ষণ, হত্যা ও পারিবারিক সহিংসতার ঘটনা বিগত মাসগুলোর মতোই অব্যাহত রয়েছে; যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এ সময়ে ৩৩২টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এ মাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে ৬২টি, গণধর্ষণ ২৫টি, ধর্ষণ ও হত্যা চারটি, যার মধ্যে ছয় জন প্রতিবন্ধীসহ ৪৭ জন শিশু ও কিশোরী রয়েছে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রবলভাবে সমালোচিত হলেও এ আইনে মামলার নামে হয়রানি কমেনি বরং ধারাবাহিকভাবে এর অপব্যবহার বেড়েই চলেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় দুই জন সাংবাদিক গ্রেফতার ও চার জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এক জন নারীসহ আট জন সাধারণ নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে, এর মধ্যে দুই জন কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীও রয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে একজন রাজনৈতিক কর্মীকে ও মামলা দেওয়া হয়েছে অপর এক রাজনৈতিক কর্মীর বিরুদ্ধে। সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় অন্তত আট জন সাংবাদিক নানাভাবে হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এমএসএফের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত মাসে গণপিটুনিতে এক জন নিহত ও ১৪ জন আহত হয়েছেন।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন