শৈশবের ক্লাব সান্তোসের সঙ্গে চুক্তি নবায়নের পর মাঠে নেমেই আলো উজ্জ্বল নেইমার। দেসপোর্তিভা ফেরোভিয়ারিয়া বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে গোলের পাশাপাশি অ্যাসিস্টও করেছেন তিনি। নেইমারের জ্বলে ওঠার ম্যাচে ৩–১ গোলের বড় ব্যবধানে জিতেছে সান্তোস।
ক্যারিয়ারের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ইনজুরির সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন নেইমার। সম্প্রতি খুব কমই মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। তাই নেইমারের মাঠে নামা ম্যাচগুলোতেও আলাদাভাবেই চোখ থাকে ভক্ত–সমর্থকদের। বিশেষ করে বিশ্বকাপের আগে নেইমার ফিট থেকে মাঠে কেমন পারফরম্যান্স করছেন, তা নিয়ে কৌতূহল রয়েছে অনেকেরই। আজকের ম্যাচটি নেইমারের সেই সব কৌতূহলী ভক্ত–সমর্থকদের কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে।
কারিয়াসিকার ক্লেবের আন্দ্রাদে স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই খেলেছেন নেইমার। ম্যাচের শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের কড়া ট্যাকলের মধ্যে পড়তে হয়েছে তাকে। প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়দের একের পর এক ট্যাকলে কখনো কখনো খানিকটা উদ্বিগ্নও মনে হয়েছে নেইমারকে।
ম্যাচের ২০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে দলের প্রথম গোলটা করেন নেইমার। সান্তোসে যোগ দেওয়ার পর এটি তার চতুর্থ গোল। ৩১ মিনিটে গিয়ের্মের করা গোলেও অ্যাসিস্ট করেন তিনি। বিরতির পর অবশ্য আর মাঠে ফেরেননি নেইমার। তার বদলি হিসেবে মাঠে নামেন পাদুলা।
প্রথমার্ধ শেষে বিরতির সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নেইমার। প্রীতি ম্যাচ হলেও এ ম্যাচ কেন গুরুত্বপূর্ণ, তা ব্যাখ্যা করে নেইমার বলেছেন, ‘এ ধরনের প্রীতি ম্যাচ খেলার গুরুত্ব হচ্ছে ছন্দে ফেরা। আমরা বেশ কিছুদিন খেলার বাইরে ছিলাম। ব্রাজিলিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে আবার শুরু করার জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি এখন অনেক ভালো অনুভব করছি। যখন প্রথম এসেছিলাম, তখনকার সঙ্গে এখনকার তুলনাই হয় না। ধীরে ধীরে শারীরিকভাবে উন্নতি করছি, ভালো লাগছে। আর এটা আমাকে আনন্দও দিচ্ছে।’
সান্তোসের মূল দলের হয়ে এটা প্রথম ম্যাচ ছিল ক্লাবটির কিংবদন্তি ও সাবেক ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রবিনিওর ছেলে রবিনিও জুনিয়রের। ১৭ বছর বয়সী রবিনিও জুনিয়র বাবার ৭ নম্বর জার্সি পরে নিজের প্রথম ম্যাচ খেললেন।
পাশাপাশি দিয়েগো পিতুচার গোলে সহায়তা করে অভিষেকও রাঙিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি অবশ্য নির্ধারিত সময়ে শেষ করা যায়নি। দর্শকেরা একাধিকবার মাঠে ঢুকে পড়ায় দ্বিতীয়ার্ধের ৪০ মিনিটেই থামিয়ে দিতে হয় খেলা।