English

25.7 C
Dhaka
বুধবার, জুলাই ৯, ২০২৫
- Advertisement -

ডিমের কুসুম কি কোলেস্টেরল বাড়ায়?

- Advertisements -
আধুনিক জীবনযাত্রার বেড়াজালে আটকে গেছেন সবাই। অনিয়মিত খাদ্যাভাস, সঠিক জীবনধারা না মানার কারণে শরীরে বাড়ছে মেদ। অসময়ে হানা দিচ্ছে ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপের মতো নানা ক্রনিক রোগ। আর এসবের চক্করে প্রতিদিনের খাবার তালিকা থেকে বাদ যাচ্ছে বিভিন্ন খাবার।
সেই তালিকায় রয়েছে ডিমের হলুদ অংশ অর্থাৎ কুসুম।

কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার ভয়ে অনেকেই কুসুম খেতে চান না। কিন্তু সত্যি কি ডিমের কুসুম খেলে কোলেস্টেরল বাড়ে? চলুন, জেনে নেওয়া যাক।ডিমের দুটি অংশ।

কুসুমে থাকে কোলেস্টেরল, ভিটামিন ও ফ্যাট। একটি বড় ডিমের কুসুমে ১৮৬ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল থাকে। অপরদিকে, সাদা অংশে থাকে প্রোটিন। কোলেস্টেরল এক ধরনের ফ্যাট, যা আমাদের রক্তে দেখা যায়।

এটি শরীরে কোষ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন (এলডিএল) কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে তাকে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল বলে ধরা হয়। যার থেকে হার্টের রোগের ঝুঁকি বাড়ে। আর হাই ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন (এইচডিএল) কোলেস্টেরল ‘ভালো’ কোলেস্টেরল নামে পরিচিত। ডিমের কুসুম এলডিএল-এর মাত্রা বাড়িয়ে দেয় বলে প্রচলিত ধারণা রয়েছে।

তবে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় অন্য তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। যা হলো, ডিমের কুসুম কোলেস্টেরলের ওপর সামান্য প্রভাব ফেলে। তাই সীমিত পরিমাণে ডিম খেলে কোলেস্টেরল বাড়ার আশঙ্কা তেমন থাকে না। বরং ডিমের কুসুম ভিটামিন এ, ডি, ই, এবং বি১২-এর পুষ্টিতে ভরপুর।

একইসঙ্গে এতে রয়েছে প্রয়োজনীয় ফ্যাটি এসিড ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। যা সার্বিকভাবে শরীরে পুষ্টি জোগায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখে। যদিও কারো কারো ক্ষেত্রে ডিম খেলে কোলেস্টেরল বাড়ার আশঙ্কা থাকতে পারে। তবে তা সকলের জন্য প্রযোজ্য নয়।

তাই আপনি যদি কোলেস্টেরল নিয়ে চিন্তিত থাকেন কিংবা হার্টের কোনো সমস্যা থাকে তাহলে সীমিত পরিমাণে ডিম খেতে পারেন। বেশিরভাগ মানুষের দিনে একটি ডিম খাওয়া নিরাপদ বলেই গণ্য হয়। সেক্ষেত্রে ব্যালেন্সড ডায়েটের ওপর বেশি নজর দিন।

খাদ্যতালিকায় সবজি, গোটা শস্য এবং লিন প্রোটিন বেশি রাখুন। যা আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও হার্ট সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। একইসঙ্গে ভাজার বদলে সেদ্ধ কিংবা পোচ করে ডিম খান। এতে অতিরিক্ত ফ্যাট যোগ হবে না। তবে মনে রাখবেন, সকলের শরীর এক রকম নয়। তাই যে কোনো বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই ভালো।

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/jwi0
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন