জন্মের পর থেকেই কথা বলতে পারেন না শামীমুর রহমান সৌরভ ও তামান্না খাতুন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তাদের পরিচয়, অতঃপর বিয়ে।
এলাকাবাসী জানান, বর শামীমুরের বাকপ্রতিবন্ধী বন্ধুরাই এ বিয়ের ঘটক। তারাই কনের ছবি শামীমুরকে দেন। পরে ফেসবুকে তাদের মধ্যে কথা চলতে থাকে। একপর্যায়ে পারিবারিকভাবে তাদের দেখাদেখি ও পরে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।
বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) এই যুগলের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার সদুল্লাপুর গ্রামে কনের মামা বাড়িতে।
শামীমুর রহমান সৌরভ ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারি উপজেলার চরবর্ণী গ্রামের রেজাউল করিমের বড় ছেলে এবং তামান্না খাতুন বাঘারপাড়া উপজেলার সদুল্লাপুর গ্রামের মৃত সৈয়দ কেরামত হোসেনের মেয়ে। তাদের দেখে বোঝার উপায় নেই, বর-কনে দুজনেই বাকপ্রতিবন্ধী।
এই বিয়ে নিয়ে এলাকাবাসীর কৌতুহলের শেষ ছিল না। আয়োজনেও কমতি রাখেননি কনের মামা বাঘারপাড়া বাজারের কসমেটিক্স ব্যবসায়ী এনামুল কবির।
এদিন পাঁচটি মাইক্রো ও একটি বাসযোগে কনের বাড়িতে আসে বরযাত্রী। বরযাত্রীদের বেশীরভাগই ছিলেন বাকপ্রতিবন্ধী।
উৎসবের আমেজে অতিথিদের আপ্যায়নের পর দেনমোহর হিসেবে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকায় বিয়ে সম্পন্ন হয়। বর-কনে বাকপ্রতিবন্ধী হওয়ায় মাথা ঝুঁকিয়ে বিয়েতে সম্মতি প্রকাশ করেন।
কনের মা পারভীনা খাতুন বলেন, একমাত্র মেয়ে তামান্না স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পাস করে খুলনার গোয়ালখালি প্রতিবন্ধী স্কুলে ভর্তি হয়। তামান্না এখন এইচএসসি পরীক্ষার্থী।
তিনি আরও বলেন, বরও এইচএসসি পরীক্ষার্থী। সে ঢাকায় কেয়া কসমেটিক্স লিমিটেডে চাকরি করে।
বর ও কনের জন্য সবার কাছে দোয়া কামনা করেন কনের মা পারভীনা খাতুন।
The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/8yaf
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন