নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে চুলের ডগা ছেঁটে নিতে হবে। এমন নয় যে সবসময় পার্লারে যেতে হবে। বাড়িতে নিজেই কেটে নিতে পারেন চুলের ডগার একটা অংশ। যখন দেখবেন স্প্লিট এন্ডস শুরু হয়েছে তখনই ছাঁটতে হবে।
প্রথমে চুল বিনুনি করে নিন।তারপর ডগা বা তলার অংশ ছেঁটে দিন। চুলে বিনুনি করে নিলে নিজে নিজে ছাঁটতে সুবিধা হয়।
চুল নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে কাটলে ডগা ফাটার সমস্যা অর্থাৎ স্প্লিট এন্ডস যেমন কমে যায়, তেমনই চুল লবায় ভালোভাবে বাড়তেও সাহায্য করে এই অভ্যাস। যাদের চুল খুব তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পায়, তারা মাঝে মাঝেই চুলের ডগার অংশ সমান করে ছেঁটে নিতে পারে। তবে যাদের চুল লম্বায় একদম বাড়তেই চায় না, তারা ঘনঘন চুল না কাটাই ভালো।
স্প্লিট এন্ডসের সমস্যা কমাতে চুলে প্রয়োজন সঠিক পুষ্টি। মূলত পুষ্টির অভাবে এবং পারিপার্শ্বিক দূষণের কারণে চুল সবচেয়ে দ্রুত খারাপ হয়। ভিটামিন-ই এর অভাব শরীরে থাকলে চুল খুব রুক্ষ, শুষ্ক হয়ে যায়।
শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি থাকলেও চুলের ডগা ফেটে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। চুল দেখতে জেল্লাহীন, জৌলুসহীন লাগে। লালচে হয়ে যায় চুলের রং। নষ্ট হয় চুলের গঠনও। চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাইলে চুলে ডিম না মেখে বরং প্রতিদিন অন্তত একটা ডিম সিদ্ধ খান, অবশ্যই কুসুম সহ খেতে হবে। অনেক উপকার পাবেন এই খাদ্যাভ্যাসের ফলে।