শরতে এই রোদ, আবার এই বৃষ্টি। এই সময়ে আবহাওয়ার কারণে চুল পড়ার হার বেড়ে যায়। দামি প্রসাধনী ব্যবহার করেও কেনোভাবে চুল পড়া রোধ করা যায় না। এই অবস্থায় চুল পড়া সমস্যার সমাধান হতে পারে প্রাকৃতিক নতুন উপাদান সবুজ কফি।
অনেকেই হয়তো জানেন, সবুজ কফি ওজন কমাতে এবং উজ্জ্বল ত্বকের জন্য কার্যকরী এক পানীয়। কিন্তু এই ছোট বীজটি আপনার চুলে আনতে পারে বিরাট পরিবর্তন। চুলের ধরন যেমনই হোক না কেন এটি ব্যবহারে পেতে পারেন চুল পড়ার স্থায়ী সমাধান।
সবুজ কফি কী?
সবুজ কফি কিন্তু মাচা কফি নয়। এটি মূলত সবুজ কফির বীজ। সাধারণ কফির মতো কোনো রকম প্রক্রিয়াজাত বা ভাজা হয় না এটি, সম্পূর্ণ কাঁচা থাকে। এই বীজের নির্যাস সুইস ওয়াটার প্রক্রিয়ায় কফিকে ডিক্যাফিনেটিং করতে ব্যবহার করা হয়। ফলে কাঁচা কফির পুষ্টিগুণ থাকে অটুট। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে চুলের গোড়ার ক্ষয়রোধ করে। এতে অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে, যা চুলকে মজবুত করে।
আসুন জেনে নেওয়া যাক চুলে সবুজ কফি কীভাবে ব্যবহার করবেন-
কন্ডিশনার হিসেবে
১ কাপ পানিতে ২ চামচ সবুজ কফি দানা দিয়ে ফুটিয়ে নিন। ঠান্ডা হলে ছেঁকে নিন। এবার শ্যাম্পু করার পর মাথায় ঢেলে হালকা করে মাস্যাজ করে ৫ মিনিট রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল উজ্জ্বল হবে ও গোড়া শক্ত হবে।
চুলের প্যাক হিসেবে
২ টেবিল চামচ সবুজ কফি গুঁড়া, ৩ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল, ১ টেবিল চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে চুলের গোড়া থেকে আগা পযর্ন্ত লাগিয়ে নিন। আধা ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। এতে মাথার ত্বকের শুষ্কতা কমে চুলের আর্দ্রতা বৃদ্ধি পাবে।
স্ক্রাব বানিয়ে
১ টেবিল চামচ সবুজ কফির গুঁড়া (সামান্য মোটা), ১ টেবিল চামচ অলিভ ওয়েল, ১ চা চামচ মধু একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট করে নিন। এবার আলতোভাবে ৩-৫ মিনিট মাথার ত্বকে ঘষে শ্যাম্পু করে ফেলুন। এতে মাথায় জমে থাকা ময়লা ও মৃত কোষ পরিষ্কার হবে।
কতবার ব্যবহার করা যাবে
সপ্তাহে দুইদিন ব্যবহার করতে পারেন। বেশি ব্যবহার করলে মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। সব সময় টাটকা কফির গুঁড়া ব্যবহার করতে হবে। ব্যবহারের আগে অবশ্যই প্যাচ টেস্ট করে নিতে হবে। না হলে মাথার ত্বকে অল্প জায়গায় ব্যবহার করে দেখে নিতে হবে, কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না। সমস্যা না হলে, নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল পড়া কমবে।