রোদে বের হওয়ার আগে নিয়ম করে মুখে সানস্ক্রিন মাখলেও পায়ের যত্ন নিতে ভুলে যান অনেকেই। যারা এই তীব্র রোদে জুতা পরে বের হন, তাদের পা রক্ষা পায়। তবে গরমের জন্য যারা স্যান্ডেল বেছে নেন, দিনশেষে দেখা যায় তাদের পায়ের পাতার ওপরটায় যেন স্যান্ডেলের ডিজাইন হয়ে আছে!
তাই সঠিক যত্নের অভাব বলুন আর বেখেয়ালেই বলুন, আমাদের পা তার স্বাভাবিক সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলে। রৌদ্রের তাপে পুড়ে পায়ে কালো ছোপ ছোপ দাগ হয়ে যাওয়াও নতুন কিছু নয়। কারও কারও পায়ে কষ্টকর সানবার্ন হয়ে যায়, জ্বলতে থাকে দীর্ঘক্ষণ। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে দূর করবেন পায়ের রোদে পোড়া দাগ-
১. লেবু: লেবুর রসে অ্যাসিড রয়েছে এবং এর ব্যবহার আপনার শুষ্ক ত্বককে আরো শুষ্ক করে তুলতে পারে। তবে খানিকটা লেবুর রসের সঙ্গে তার ৫-৬ গুণ বেশি পানি মিশিয়ে তারপর সেটাতে তুলো ভিজিয়ে যদি ভেজা তুলোটা আপনার রোদে পোড়া স্থানে লাগান তাহলে ধীরে ধীরে পোড়াভাবটা কেটে যাবে। এছাড়াও, এই মিশ্রণটিকে বরফ করে পোড়া স্থানে ঘষলেও আরাম পাবেন।
২. টমেটো: টমেটো সানস্ক্রিন হিসেবে ভালো কাজ করে। এছাড়াও বয়স আর রোদেপোড়া দাগ দূর করতেও বেশ ভালো ফলাফল দেয়। তবে পায়ের কালচেভাব দূর করার জন্যে এটি বেশি উপকারী। সম্ভব হলে প্রতিদিন পায়ে টমেটোর পেস্ট লাগান। এটি পায়ের মরা কোষগুলোকে পরিষ্কার করে, সেই সঙ্গে আপনার পায়ের কালচে ভাবকেও দূর করবে।
৩. নারিকেলের পানি: পায়ের চামড়ায় সান বার্ন হলে নারকেলের পানির চাইতে ভালো কোনো প্রতিষেধক হতেই পারেনা। এক্ষেত্রে ১০ থেকে ১৫ মিনিট আপনার পায়ে নারকেলের পানি দিয়ে ম্যাসাজ করুন। গোসলের আগে কাজটি করে ফেলুন আর কিছুদিন পরপর করার চেষ্টা করুন। এতে ভালো ফলাফল পাবেন।
৪. পাকা পেঁপে: রোদে পোড়া চামড়ার জন্য পাকা পেঁপে বেশ কার্যকরী। রোদে পোড়া চামড়ার ওপর খানিকটা পাকা পেঁপের পেস্ট লাগিয়ে নিন আর সেটাকে ১০ থেকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন।
৫. মসুর ডাল: ঘরে বসেই মসুর ডাল আর মধু দিয়ে তৈরি একটি প্যাক বানিয়ে ফেলুন আর সেটিকে লাগিয়ে নিন পায়ের পুড়ে যাওয়া ত্বকের ওপর। ২০ থেকে ২৫ মিনিট অব্দি পায়ে লাগিয়ে রাখুন প্যাকটি। চেষ্টা করুন সপ্তাহে কম করে হলেও তিনবার এই প্যাকটি লাগাতে। এতে করে খুব দ্রুত ফল পাবেন।