প্রতিদিন দাঁত ব্রাশ করলেই কিন্তু মুখের স্বাস্থ্য ভালো থাকে না। নিয়মিত দাঁতের পাশাপাশি জিহ্বা পরিষ্কার করাও গুরুত্বপূর্ণ।
জিহ্বার সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন অংশের সম্পর্ক আছে। জিহ্বা উপকারী ও ক্ষতিকারক উভয় ব্যাকটেরিয়াকে আশ্রয় দেয়। ব্যাকটেরিয়া ও খাদ্য কণা প্যাপিলির মধ্যে জমা হতে থাকে। যদি এই কণাগুলোকে সময়মতো পরিষ্কার না করা হয়, তাহলে সেগুলো একটি শ্লেষ্মা আস্তরণে ঢেকে নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধের দিকে পরিচালিত করে।
তাই নিয়মিত জিহ্বা পরিষ্কার করতে হবে। তাহলে শরীরের বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত পদার্থ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে এবং মুখের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখবে। অনেকে জিহ্বা পরিষ্কার করার জন্য ‘টাং স্ক্র্যাপার’ ব্যবহার করেন। কেউ যদি এটি ব্যবহার করতে না চান, তাহলে প্রাকৃতিক উপায়েও জিহ্বা পরিষ্কার করতে পারেন।
আসুন জেনে নেওয়া যাক ঘরোয়া উপায়ে কীভাবে জিহ্বা পরিষ্কার করবেন-
লবণ পানি দিয়ে
লবণ পানি মুখের ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে। মুখে জীবাণু জন্মাতে দেয় না বলে মুখে দুর্গন্ধও হয় না। এক গ্লাস গরম পানিতে এক চা চামচ লবণ নিয়ে গার্গল করুন। লবণাক্ত পানি মুখের চারপাশে ৩০ সেকেন্ডের জন্য ঘুরিয়ে ফেলে দিন। দিনে একবার বা দুইবার করতে পারেন।
বেকিং সোডা
বেকিং সোডা একটি প্রাকৃতিক প্রতিকার। বেকিং সোডা আপনার জিহ্বায় ব্যাকটেরিয়া জমতে দেবে না। এক চা চামচ বেকিং সোডার সঙ্গে কয়েক ফোঁটা পানি মিশিয়ে মিশ্রণটি আলতো করে জিহ্বাতে লাগিয়ে নিন। এবার একটি নরম টুথব্রাশ দিয়ে ঘষে নিন। প্রায় এক মিনিট ঘষার পরে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি দিনে একবার করতে পারেন।
নারকেল তেল ব্যবহার করে
তেল দিয়ে জিহ্বা পরিষ্কার করা একটি প্রাচীন নিয়ম। এক টেবিল চামচ নারকেল তেল মুখে নিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে দিন।
পুরো মুখে ভালোভাবে ঘুরিয়ে থুতু ফেলে দিন। এরপর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২-৩ বার করতে পারেন। এটি জিহ্বা এবং মুখ পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করবে।
জিহ্বা পরিষ্কার করার সময় যা খেয়াল রাখবেন
জিহ্বা খুব জোরে ঘষবেন না। এতে জিহ্বায় আঘাত লাগতে পারে।
প্রতিদিন দাঁত ব্রাশ করার সময় জিহ্বা পরিষ্কার করুন।
জিহ্বা পরিষ্কার করার পর মুখ ভালোভাবে কুলি করুন।