মোবাইল ফোনে আসক্তি শুধু ছোটদেরই নয়; বড়দেরও এ রোগ সৃষ্টি হয়েছে। আর ছোট-বড় নির্বিশেষে স্ক্রিন টাইম নিয়ে সতর্ক করেছেন চিকিৎসকরা। রাতে ভালো ঘুমের জন্য ডিজিটাল পর্দা থেকে দূরে থাকতে বলেছেন তারা। আবার সূর্যাস্তের পর বিশেষ করে ঘুমাতে যাওয়ার আগে আলোর প্রভাবে হার্টের ক্ষতির ঝুঁকি অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে।
সম্প্রতি এক গবেষণায় এমনটিই ইঙ্গিত করা হয়েছে।
রাতেরবেলা আলোয় বেশিক্ষণ তাকালে দেহের ‘সির্কাডিয়ান রিদম’, যা ঘুমাতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে ওঠার জন্য দেহের নিজস্ব ‘ঘড়ি’ নষ্ট হয়। এর ফলে হৃৎপিণ্ডের ওপরে ক্রমাগত চাপ তৈরি হতে থাকে। কারণ মস্তিষ্ক আলোর সংস্পর্শে রাতকে দিন বলেই মনে করে। ফলে ঘুম আসতে দেরি হয়। এবং ভালো ঘুমের জন্য গবেষকরা রাতে শোবারঘরে আলো না জ্বালানোর পরামর্শ দিয়েছেন। বাইরে থেকে আলো যাতে ভেতরে প্রবেশ না করে, সে জন্য জানালায় মোটা কাপড়ের পর্দা ব্যবহার করা উচিত বলেও মনে করেন চিকিৎসকরা।
আর রাতে যারা বেশি আলোর সংস্পর্শে থাকেন, তাদের নানা ধরনের হার্টের সমস্যা দেখা দেয়। এ ক্ষেত্রে গবেষকরা বলেছেন, হার্ট ফেলিওরের সমস্যা ৪৫ থেকে ৫৬ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। আবার অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের হার বৃদ্ধি পায় ২৮ থেকে ৩২ শতাংশ পর্যন্ত। আলোর উৎস সম্পর্কে গবেষকরা কোনো তথ্য প্রকাশ করেননি। তবে তারা শুধু আলোর তীব্রতা নিয়ে কাজ করেছেন।
এ বিষয়ে গবেষক ড্যানিয়েল উইনড্রেড বলেছেন, এটি প্রথম বৃহৎ আকারের গবেষণা, যা দেখিয়েছে যে শুধু রাতে আলোর সংস্পর্শে থাকা হৃদরোগের অন্যতম এবং শক্তিশালী কারণ হতে পারে।
সম্প্রতি ‘জামা নেনওয়ার্ক ওপেন’ জার্নালে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। ঘুমের আগে আলোর উপস্থিতি নিয়ে গবেষণা করেছে অস্ট্রেলিয়ার ফ্লিন্ডার্স ইউনিভার্সিটির এক দল গবেষক। তারা ইংল্যাল্ডের প্রায় ৮৯ হাজার রোগীর থেকে তথ্য সংগ্রহ করে তা বিশ্লেষণ করেছেন। ১০ বছরের সময়কালে রোগীদের হার্টের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়েছে। আলোর উপস্থিতি একটি বিশেষ স্মার্ট ট্র্যাকারের সাহায্যে সংগ্রহ করা হয়েছে।
