English

35 C
Dhaka
সোমবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৪
- Advertisement -

ঠাণ্ডা-জ্বর থেকে বাঁচতে নবজাতকের যত্ন

- Advertisements -
Advertisements
Advertisements

ঢাকা: শীতে নবজাতক শিশুর অসুখ-বিসুখ লেগেই থাকে। এ সময় নবজাতকের কয়েকটি সাধারণ অসুখের মধ্যে সর্দি-জ্বর, ভাইরাল জ্বর, ঠাণ্ডা, কাশি, কানে সংক্রমণ ও ফ্লু অন্যতম।

তাই এ সময় নবজাতকের বিশেষ খেয়াল রাখা প্রয়োজন, যাতে শীতের বৈরী আবওহাওয়া শিশুর নাজুক শরীরে কোনো বিরূপ প্রভাব না ফেলে।
ঠাণ্ডা ও জ্বর:যদি শিশুর শরীরে ১০১ ডিগ্রি ফারেনহাইট জ্বর, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, ঘন ঘন শ্বাস নেওয়া, ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়া, নাক দিয়ে পানি পড়া, কান চুলকানো ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয় তাহলে দ্রত ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া উচিত।

এছাড়াও রাতে ঘুমোনোর সময় নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, শরীর ব্যথা ও খেতে না পারা নিউমোনিয়ার লক্ষণ। শিশু যেনো পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখুন। শিশু যেন সঠিক মাত্রায় মায়ের দুধ পায় সেদিকেও লক্ষ্য রাখুন। মায়ের দুধ শিশুর শরীরে রোগ প্রতিরোধ করার রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে। তাই মায়ের উচিত প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন ও ভিটামিন ‘সি’ খাওয়া।

ফ্লু:

হঠাৎ জ্বর, ক্লান্তি, নাক বন্ধ, শুকনো কাশি, ডায়রিয়া ও বমির উপসর্গ দেখা দিলে বার বার শিশুকে খাওয়ান। ঘরে পর্যাপ্ত আলো চলাচলের ব্যবস্থা করুন। একদিন পর পর ঈষ‍ৎ গরম পানিতে শিশুকে স্নান করান। স্নানের সময় যেন সকাল ও দুপুরের মাঝামাঝি হয়। সময়মতো ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

শীতে প্রায় সবারই ঠাণ্ডা-কাশি লেগে থাকে। ফলে আমাদের হাতে জীবাণু থাকে। তাই সব সময় হাত পরিষ্কার রাখুন। হাঁচি-কাশি দেওয়ার সময় রুমাল ব্যবহার করুন। শিশুর হাতও হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে দিন। খেয়াল রাখবেন শিশু যেন হাত মুখে না দেয়। এছাড়াও-
•      ঠাণ্ডা ও জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে শিশুকে রাখবেন না।
•      সময়মতো শিশুকে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে কিনা খেয়াল রাখুন।
•      শিশুর কানে ইনফেকশন হলে, শ্বাস প্রশ্বাস নিতে বাধাপ্রাপ্ত হলে বা নিশ্বাস নেওয়ার সময় শব্দ হলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

দৈনন্দিন যত্ন:

ঠাণ্ডা লাগলে শিশুর শরীর অলিভ অয়েল, পাম অয়েল বা সরষের তেল দিয়ে ম্যাসাজ করুন। এতে রক্ত চলাচল বাড়বে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। এছাড়া সরষের তেল শিশুর শরীরকে গরম রাখে, যা শিশুর পক্ষে আরামদায়ক। গোসলের আগে শিশুর ত্বকে তেল ম্যাসাজ করার নিয়ম সবাই জানেন। তবে স্নানের সময় ভালোভাবে শিশুর ত্বক থেকে তেল তুলে ফেলতে হবে, নয়তো তেল লোমকূপের গোড়ায় জমে র‌্য  উঠতে পারে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন