তোয়ালে যত ঘন ঘন কাচা হোক না কেন, দু-এক দিনের মধ্যেই ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে যায়। এটি থেকে এত দুর্গন্ধ বের হয় যে নাকের কাছে নেওয়া যায় না। কিন্তু তোয়ালে এত ঘন ঘন নোংরা হয় কেন? জেনে নিন আসল কারণ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের বেড়ে ওঠার জন্য আদর্শ জায়গা তোয়ালে।
ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক বেড়ে ওঠে তোয়ালের মধ্যে। অণুজীব বেড়ে ওঠার জন্য প্রয়োজনীয় পানি, উষ্ণ পরিবেশ, অক্সিজেন, পিএইচ মজুদ থাকে তোয়ালেতে। এমনকি তোয়ালে শুকিয়ে গেলেও মানুষের শরীরের মৃত কোষ জমা হয়ে থাকে। ফলে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের খাবারের অভাব হয় না।মানবশরীরও ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক বেড়ে ওঠার জন্য আদর্শ। সেই কারণে আমাদের শরীরে কোটি কোটি ব্যাকটেরিয়া থাকে। সেই শরীরের ওপর তোয়ালে ছোঁয়ালে তোয়ালেতে চলে যায় এসব ব্যাকটেরিয়া। তাই তোয়ালে থেকে সোঁদা বা অম্ল গন্ধ বের হওয়ার অর্থ, ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের বর্জ্য জমা হয়েছে।ভেজা তোয়ালে কখনোই লন্ড্রি বাস্কেটে ছুড়ে ফেলে দেবেন না। কারণ স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক দ্রুত বংশবিস্তার করে। অন্য জামাকাপড়গুলো থেকেও যেমন গন্ধ বের হবে, তেমনই ওই গন্ধ দূর করতে হিমশিম খেতে হবে। বরং ভেজা তোয়ালে সরাসরি ওয়াশিং মেশিনে ঢুকিয়ে দিন অথবা হাতে কেচে নিন। সব সময় রোদ-হাওয়া লাগে, এমন জায়গায় তোয়ালে শুকাতে দিন।বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতি তিন-চার বার ব্যবহারের পরই তোয়ালে কেচে নেওয়া উচিত। খুব বেশি হলে, দু-তিন দিনই না কেচে ব্যবহার করতে পারেন। তোয়ালে কাচার পরও ভালো করে নিংড়ে নিন, যাতে সব পানি বের হয়ে যায়। টান টান করে মেলে দিন। তোয়ালের ওপর যেন রোদ পড়ে, হাওয়া বাতাস লাগে যেন। অন্যথায় ড্রায়ারেও শুকিয়ে নিতে পারেন।