English

32 C
Dhaka
রবিবার, মে ১৯, ২০২৪
- Advertisement -

যেসব লক্ষণ বলে দেবে বাইপোলার ডিসঅর্ডারে ভুগছেন কিনা

- Advertisements -

কিছু মানুষ আছেন যারা কয়েকদিন  মানসিকভাবে খুব ফুরফুরে মেজাজে থাকেন, আবার কয়েকদিন পরেই হতাশায় ডুবে যান। আনন্দ এবং হতাশা এই দুই অনুভূতিই তাদের প্রবল। এমনটা হলে বাইপোলার ডিসঅর্ডারে ভুগছেন কিনা বোঝার চেষ্টা করুন।

চিকিৎসকেরা বলেন, ‘বাইপোলার ডিসঅর্ডার’ এমন এক ধরণের তীব্র মানসিক স্বাস্থ্য পরিস্থিতি যা মেজাজকে প্রভাবিত করে। এটি ‘ম্যানিক ডিপ্রেশন’ নামেও পরিচিত।

Advertisements

বিবিসির তথ্য, মেজাজের এই বিপরীত ধরনের চরম উত্থান পতনের অনুভূতি কয়েক দিন এমনকি কয়েক মাস পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। একেক ধরণের মেজাজের সময়কালকে ‘মুড এপিসোড’ বলা হয়ে থাকে।

এই এপিসোডের সাধারণ লক্ষণ:

  • চরম দুঃখবোধ, আশাহীনতা বা মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়
  • এনার্জির অভাব
  • মনোযোগ দিতে এবং মনে রাখতে সমস্যা
  • প্রতিদিনের সাধারণ কাজকর্ম করতে ইচ্ছা করে না, যেমন- দাঁত ব্রাশ করা, চুল আঁচড়ানো, বিছানা ঠিক করা
  • ভীষণ শূন্যতা বোধ হয়, নিজেকে মূল্যহীন লাগে, নিজের দক্ষতা নিয়ে সন্দেহ জাগে
  • অপরাধবোধ ও হতাশা ভর করে
  • আত্মহত্যার চিন্তা ঘুরপাক খায়

বিশেষজ্ঞরা বলেন, বাইপোলার ডিসঅর্ডারে আক্রান্তদের আত্মহত্যার ঝুঁকি সাধারণ মানুষের তুলনায় ১৫ থেকে ২০ গুণ বেশি হয়। এদের অর্ধেকের বেশি মানুষ কমপক্ষে একবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তারা দ্রুত কথা বলেন, খেতে বা ঘুমাতে ভালো লাগে না, অল্পেই বিরক্ত হয়ে যান।

Advertisements

বাইপোলার ডিসঅর্ডার হওয়ার সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেক শারীরিক ও মানসিক চাপের মধ্যে থাকলে যেমন: কর্মক্ষেত্রে নানা চাপ, সম্পর্কে টানাপোড়েন বা ভাঙ্গন, সেইসাথে অভাব, শারীরিক, যৌন বা মানসিক নির্যাতন, পরিবারের ঘনিষ্ঠ সদস্য বা প্রিয়জনের মৃত্যুর কারণে বাইপোলারে ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।

এছাড়া জেনেটিক্সে অর্থাৎ পরিবারে কারও বাইপোলার ডিসঅর্ডার থাকলে সেটা পরবর্তী প্রজন্মে বর্তানোর আশঙ্কা বাড়ে। বাইপোলার ডিসঅর্ডার হওয়ার আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয় অনিয়মিত জীবনযাপন যেমন: খাওয়া দাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ না থাকা, অপর্যাপ্ত ঘুম, মদ ও ধূমপানের অভ্যাস ইত্যাদি।

সেরে উঠবেন কীভাবে: আপনার বাইপোলার ডিসঅর্ডার আছে কিনা তা একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ভালো বলতে পারবেন। এজন্য তারা আপনাকে বিভিন্ন প্রশ্ন করবেন, যেমন: আপনার মানসিক এপিসোডগুলো কতোটা তীব্র হয়, আত্মহত্যার চিন্তা আসে কিনা, পরিবারে কারও এমন সমস্যা আছে কিনা। এরপর বিভিন্ন স্বাস্থ্য পরীক্ষাও দিতে পারেন। আপনার সার্বিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন করেই তারা সিদ্ধান্ত নেবে আপনার চিকিৎসা প্রয়োজন কিনা।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন