উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ট্রেনে করে চীনে প্রবেশ করেছেন। বুধবার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির ৮০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সামরিক কুচকাওয়াজে অংশ নিতে তিনি বেইজিং যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে উত্তর কোরিয়ার রদং সিনমুন সংবাদপত্র।
আল জাজিরা সূত্রে জানা গেছে, এ অনুষ্ঠানে ২৬টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান উপস্থিত থাকবেন। একই মঞ্চে থাকবেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন।
মঙ্গলবার ভোরে কিমের বিশেষ ট্রেন সীমান্ত দিয়ে চীনে প্রবেশ করে। তার সঙ্গে রয়েছেন উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ সরকারি ও দলের কর্মকর্তারা।
কিম জং উনের এই সফরটি এসেছে চীনের তিয়ানজিনে অনুষ্ঠিত সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনের পরপরই। ওই সম্মেলনে চীন ও রাশিয়ার শীর্ষ নেতারা পশ্চিমা প্রভাবের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেন।
বিশ্বের অন্যতম বিচ্ছিন্ন দেশ উত্তর কোরিয়া বহুদিন ধরে অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সহায়তার জন্য চীন ও রাশিয়ার ওপর নির্ভর করে আসছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে মস্কোর সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছে। উত্তর কোরিয়া রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ইউক্রেন যুদ্ধকে সহায়তা করতে হাজার হাজার সেনা পাঠিয়েছে।
কিম জং উন সাধারণত বিদেশ ভ্রমণ খুব কম করেন। তবে ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে পাঁচবার সাক্ষাৎ করেছেন। সর্বশেষ সাক্ষাৎ হয় ২০১৯ সালে, চীন-উত্তর কোরিয়া সম্পর্কের ৭০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে।
এছাড়া কিম পুতিনের সঙ্গে এ পর্যন্ত তিনবার সাক্ষাৎ করেছেন। সর্বশেষ ২০২৪ সালের জুনে পিয়ংইয়ংয়ে দুই নেতা একটি পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেন।