English

38 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪
- Advertisement -

ম্যারাডোনার নৈপুণ্য খেলোয়াড়দের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে: শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

- Advertisements -
Advertisements
Advertisements

ফুটবল কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক শোকবার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই আর্জেন্টাইন খেলোয়াড় বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীদের হৃদয়ে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন এবং যুগে যুগে তার ক্রীড়া নৈপুণ্য ভবিষ্যৎ ফুটবল খেলোয়াড়দের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।
প্রধানমন্ত্রী এই ফুটবল মহানায়কের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
এর আগে বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে ১১টার দিকে আর্জেন্টিনার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন এক বিবৃতিতে ম্যারাডোনার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করে। সংস্থাটির প্রধান ক্লাওদিও তাপিয়া শোকবার্তায় বলেন, ‘আমাদের কিংবদন্তির মৃত্যুতে আমরা গভীর শোকাহত। দিয়েগো আরমান্দো ম্যারাডোনা। সবসময় তুমি আমাদের হৃদয়ে থাকবে।’
১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে একক নৈপুণ্যে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ শিরোপা এনে দিয়েছিলেন ম্যারাডোনা। ১৯৯০ বিশ্বকাপেও আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে তুলেছিলেন তিনি। সেবার জার্মানির কাছে হেরে শিরোপা হাতছাড়া করতে হয় তাকে। এছাড়া ইউরোপিয়ান ফুটবলে ইতালিয়ান ক্লাব নাপোলির অবিসংবাদিত কিংবদন্তি ছিলেন তিনি।
দুই সপ্তাহ আগে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান। মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করা হলেও, দ্রুততম সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি। যদিও মাদকাসক্তির কারণে তাকে বাড়িতে নয়, পাঠানো হয়েছিল বুয়েন্স আয়ার্সের একটি পুনর্বাসন কেন্দ্রে। এরপর তাকে নেয়া হয় নিজের বাড়ি তিগ্রেতে। সেখানেই আজ হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক করেন তিনি।
আর্জেন্টাইন ক্লাব বোকা জুনিয়র্স থেকে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ম্যারাডোনা। এরপর ইতালিয়ান ক্লাব নাপোলি ছিল তার সোনালী যুগের ক্লাব। খেলেছেন বার্সেলোনার জার্সিতেও। কিন্তু ১৯৮৬ বিশ্বকাপে একক নৈপুণ্যে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতানোর পর থেকেই ফুটবল বিশ্বে অবিসংবাদিত কিংবদন্তিতে পরিণত হন তিনি।
কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যে দুটি গোল করেছিলেন, সে দুটিই ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই করে নিয়েছে। প্রথমটি করেছিলেন হাত দিয়ে। যে কারণে এটাকে বলা হয় ‘দ্য হ্যান্ড অব গড’। অন্যটি করেছিলেন মাঝমাঠ থেকে এককভাবে টেনে নিয়ে গিয়ে। সেই গোলটারই নাম হয়ে যায় ‘গোল অব দ্য সেঞ্চুরি’।
মাদকাসক্তির কারণে বারবার শিরোনামে আসেন ম্যারাডোনা। তবে সর্বশেষ মস্তিষ্কে জমাটবাঁধা রক্ত অপসারণের জন্য অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপর গত ১১ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে রিলিজ দেয়ার পর তিনি ওলিভোস ক্লিনিক থেকে বের হয়ে আসেন। সে সময় শত শত ভক্ত-সমর্থক এবং ফটোগ্রাফার চেষ্টা করেছিলেন তার একটি ছবি তোলার জন্য। কিন্তু সঠিকভাবে কেউই ছবি তুলতে পারেনি কিংবা ভিডিও’ও করা যায়নি।
ম্যারাডোনার আইনজীবী ম্যাথিয়াস মারলাহোস ওই সময় জানিয়েছিলেন, মাদকাসক্ত থেকে ফেরাতে তাকে নিরাময় কেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে। তিগ্রের একটি নিরাময় কেন্দ্রে কয়েকদিন থাকার পর নিজের বাসায় নেয়া হয়। যেখানে তার বড় মেয়ে থাকতেন। আজ বিকেলেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি।
মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়তেই পুরো ফুটবল বিশ্বে শোকের ছায়া নেমে আসে। অগণিত ভক্ত-সমর্থক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ম্যারাডোনার ছবি দিয়ে শোক প্রকাশ করতে শুরু করেন।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন