বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের পটুয়াখালী সদর উপজেলার ফতুল্লা বাসস্ট্যান্ড নামক এলাকায় যাত্রীবাহী বাসের সাথে র্যাবের মিনিবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনায় বাস ও র্যাবের মিনিবাসে থাকা অন্তত অর্ধশত আহত হয়েছে। অহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালের নেয়ার পর দুই বছরের শিশু পিয়াস মারা যায়। এ ঘটনায় আহত অন্তত ৩৪ জনকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে গুরুতর আহত র্যাব সদস্য ও তাদের সাথে থাকা স্ত্রী সন্তানসহ অন্তত ১৫ জন স্বজনদের বরিশাল সিএমএইচে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আহত যাত্রীদের মধ্যে ৫ জনকে বরিশাল শেবাচিমে পাঠানো হয়েছে।
আহতরা হলেন, গলাচিপা উপজেলার ইব্রাহিম (৩৫), নরাইল এলাকার রেহেনা (৫৫), র্যাব পরিবারের সদস্য মাহাবুবা (২৮), হৃদয় (৩২), ভোলার কামাল (৪০), নড়াইলের শামিমা (৪০), ঝিনাইদহের ওমর (৪০), নীলফামারির আরোজা (৪১), বাগেরহাটের আরিফ (২৭), বরিশালের তাসনিম (১৭), গলাচিপার বেল্লাল (৫০), পিয়াস (৯), জুনায়েদ (৭ মাস), আমতলীর যুথি আক্তার (১৬), দিনা (৮), র্যাব পরিবারের সদস্য মীম (৮), সাতক্ষীরার এশা (২৯), সাতক্ষীরার প্রসেনজিৎ (৩৩), সাতক্ষীরার পিয়াস (২), আমতলীর মো. ফরিদ (১৮), রাঙ্গাবালীর আবদুল্লাহ (৪), আমতলীর রবিউল (১১), বাঘের হাটের মেঘলা (২০), বরিশালের মো. ইলিয়াস শেখ (৩২), গলাচিপার সানজিদা (২১), গলাচিপার রিফাত (৮), নিপা (বয়স উল্লেখ নাই), ইব্রাহিম (৪২), আমতলীর নাজমুল ইসলাম (৩২), বরগুনার নেয়ামত উল্লাহ (২৪), কামাল হোসেন (বয়স উল্লেখ নাই)।
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. তামান্না রহমান শান্তা জানান, সকাল ৯টার কিছু সময় পূর্বে বেশ ক’জন আহত রোগী হাসপাতালে আসেন। এর মধ্যে প্রথমেই দুই বছরের শিশু পিয়াসকে নিয়ে আসে। তাকে আমরা মৃত অবস্থায় পাই। এরপর একে একে আরও কয়েকজন রোগী আসেন। এর মধ্যে ৭-৮ জনের অবস্থা গুরুতর। সকলকেই আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ওয়ার্ডে পাঠাই। গুরুতর আহতদের লেবুখালী সেনানিবাসের সিএমএইচ ও শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করি।