ভৈরব প্রতিনিধি: জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) ভৈরব শাখার উদ্যোগে মাধ্যমিক পর্যায়ের চূড়ান্ত বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২২ অক্টোবর ভৈরব বাসস্ট্যান্ডের প্যালেস পার্টি সেন্টারে বর্ণাঢ্য আয়োজনে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
দিনব্যাপী আয়োজিত প্রতিযোগিতায় ভৈরবের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। চূড়ান্ত পর্বে ভৈরব এমবিশন পাবলিক স্কুল চ্যাম্পিয়ন এবং ভৈরব পৌর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় রানার্স আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
গত শনিবার ও রবিবার নিসচার নিজস্ব কার্যালয়ে বিজয়ী ও রানার্স আপ দলের শিক্ষার্থীদের হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেন নিসচা ভৈরব শাখার সড়ক যোদ্ধাগণ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নিসচা ভৈরব শাখার সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন রবিন, সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কার্যকরী সদস্য মো. আলাল উদ্দিন, সহ-সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ইমরান হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিতর্ক উপকমিটির আহ্বায়ক শাহ আলম জনি, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সাবিনা ইয়াসমিন, কার্যকরী সদস্য ও বিতর্ক উপকমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম, কার্যকরী সদস্য ফাতেমা বেগম দীপালী, বিতর্ক উপকমিটির সদস্যসচিব সুমাইয়া হামিদ দিয়া, সদস্য তাসলিমা খাতুন লিসা, ভৈরব পৌর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. কবীর হোসেন এবং এমবিশন স্কুলের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক ফারিনা আহমেদ যুথি।
চ্যাম্পিয়ন দলের শিক্ষার্থীরা হলেন— শ্রেষ্ঠ বক্তা ও দলনেতা ফাতিমা ফেরদাউস তোয়া, নুসরাত জাহান সাফা ও জান্নাতুল ফেরদৌস কাশমি। রানার্স আপ দলের শিক্ষার্থীরা হলেন সুমাইয়া ইসলাম (দলনেতা), জানিয়া কামাল রিফতি ও তহুরা ইসলাম।
বিতর্কের মূল বিষয় ছিল— “টেকসই পরিবহন ও সড়ক ব্যবস্থা গড়ে তুললেই কেবল সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।”
শিক্ষার্থীরা যুক্তি, তথ্য ও বাস্তব উদাহরণের মাধ্যমে নিজেদের মতামত তুলে ধরে বিচারক ও দর্শকদের প্রশংসা অর্জন করে।
নিসচা ভৈরব শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ আলম জনি বলেন, “সড়ক নিরাপত্তা কেবল সরকারের নয়, আমাদের সবার দায়িত্ব। তরুণ প্রজন্মকে সচেতন করতেই এই আয়োজন।” নিসচা ভৈরব শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. আলাল উদ্দিন বলেন, “সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ক এ ধরনের বিতর্ক প্রতিযোগিতা নিয়মিত আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের চেতনা ছড়িয়ে দেওয়া হবে।”
